নয়াদিল্লি: নির্বাচিত সরকার না লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কার ক্ষমতা বেশি? ক্ষমতার জাহিরের এই লড়াইয়ে জোড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ রবিবার ‘দ্য গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, ২০২১ (এনসিটি)’-তে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷ যার মাধ্যমে খর্ব করা হল দিল্লির নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা৷
আরও পড়ুন- ভোট বড় বালাই! কর্মীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলালেন স্মৃতি ইরানি
এনসিটি বিলে রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিতে অনেক বেশি শক্তিধর হয়ে উঠলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপাল৷ অর্থাৎ লেফটেন্যান্ট গভর্নরই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লির ‘সরকার’৷ যার অর্থ, কেজরিওয়াল সরকার এবার থেকে একক ভাবে আর কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। যে কোনও পদক্ষেপ করার আগে তাঁকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে৷
সংসদে এই বিল পাশ হাওয়ার দিনই কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ‘এটি গণতন্ত্রের একটি দুঃখজনক দিন’৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির কথায়, এই সংশোধনী বিল এনসিটি দিল্লির প্রশাসনিক কাজে আরও স্বচ্ছতা আনবে৷ জনগণের দায়িত্ব বাড়বে৷ প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিল পাস করা হয়৷ এর দু’দিন পর ২৪ মার্চ এনসিটি বিল পাস হয় রাজ্যসভায়৷ এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয় কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সহ কংগ্রেস ও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল৷ সংসদ থেকে ওয়াকওউটও করেন বিরোধীরা৷ কিন্তু রবিবার এনসিটি বিলে সাক্ষর করে এই বিলকে আইনে পরিণত করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ৷
আরও পড়ুন- শুধু প্রতিবেশী নয়, বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ভারত, বললেন হাসিনা
আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ ছিল, এই আইন পাশ করে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের অধিকার কাড়তে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠানোর পরিপন্থী৷ এই বিলের মাধ্যমে দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতই আরও শক্ত করা হল৷ এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলেও দাবি করে আপ সরকার৷ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি৷ এর পর থেকেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে শাসক দলের সম্পর্ক ভালো নয়৷ তাঁদের এই সংঘাতের সম্পর্কে নতুন করে ঘৃতাহুতি দিল এনসিটি বিল৷