কলকাতা: নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের করুণ দশা, তাই বামের ভোটে ভাগ বসানোর স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। বামে-রামে গোপন বোঝাপড়ার আভাস পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী বিজেপি বিরোধীদের ভোট নষ্ট না করার আবেদন জানিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট বাম ও কংগ্রেস ধরে রাখতে পারলে পদ্ম শিবিরের বিপর্যয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচানো বাম ও কংগ্রেসের অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা তাদের একাংশকে বিজেপিমুখী করে তুলছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তাই হিন্দুত্ববাদ বিরোধীদের সতর্ক করতেই মমতা ভোট নষ্ট না করে বিজেপিকে রুখতে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন।
প্রায় তিন বছর আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাম-কংগ্রেস সমঝোতা করলেও তারা ২৫ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিল। প্রথমবারের জন্য রাজ্য বিধানসভায় তিনজন বিধায়ক পেলেও বিজেপির ভাগ্যে জুটেছিল ১০.৭ শতাংশ ভোট। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির হাওয়ায় বিজেপির ভোট বেড়ে ১৭ শতাংশ হলেও তিন বছরের মধ্যে তা প্রায় সাত শতাংশ নেমে আসে।
তারপর থেকে গত কয়েক বছরে যত উপনির্বাচন হয়েছে, সর্বত্রই বিজেপির ভোট বেড়েছে। ভোট বেড়েছে তৃণমূলেরও। তবে, বিজেপির ভোট বৃদ্ধির উল্টোদিকে দ্রুতহারে ভোট কমেছে বাম ও কংগ্রেসের। এদিকে, জাতীয় রাজনীতিতেও কেন্দ্রের এনডিএ সরকার তথা মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন মমতা। সেই পটভূমিতে বাংলায় বিজেপি-তৃণমূল মেরুকরণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে চলতি লোকসভা ভোটে।