নয়াদিল্লি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় গতকাল যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার প্রেক্ষিতে বিজেপি ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে। দাবি করা হচ্ছে যে মমতার উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে গতকালের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে এবার তৃণমূলের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি খারিজের আবেদন করল! একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে চলেছেন বাংলার ভোটারদের।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, গতকাল কোচবিহারে যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক নিয়মের বাইরে কোনো রকম কাজ করতে পারে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমাগত যে ধরনের কাজ করে যাচ্ছে তা একেবারে সংবিধান বিরোধী। সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি খারিজ করার আবেদন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন বলে জানান মুক্তার আব্বাস নাকভি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোট করাতে চাইছেন কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। খুনের রাজনীতি করছেন মমতা বলে আক্রমণ করেন নাকভি। পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ওখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কষ্ট হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলে খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।