মাকে ২০ টাকা ‘বকশিশ’ দিয়ে ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ দাদু-কাকার!

মাকে ২০ টাকা ‘বকশিশ’ দিয়ে ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ দাদু-কাকার!

a7b6cef5f3cd1793c2b9f1466aa95227

 
ভোপাল: ফের এক পাশবিক ঘটনা! মর্মান্তিক বা নক্কারজনক, যেকোনও শব্দই এর ক্ষেত্রে খাটে না বোধহয়৷  খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে বছর ছয়েকের নাতনি গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার দাদু এবং মামার বিরুদ্ধে৷ সামনে ৩ বছরের ভাইকে বসিয়ে রাখারও অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের কোলার এলাকার এই ঘটনাটির খবর রবিবাসরীয় সকালে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়়েছে দেশবাসী৷ ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷

জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই মেয়ের আচরণে অদ্ভূত পরিবর্তন লক্ষ্য করায় সন্দেহ হয়েছিল মায়ের। বাচ্চা মেয়েটি হঠাৎই মনমরা হয়ে গিয়েছিল৷ ভাল করে কথা বলছিল না কারও সঙ্গে, ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিল না, মারামারিও করছিল না। এমনকি জামা পরাতে বা কাছে গেলে ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছিল। এরপরেই মেয়েকে বারবার প্রশ্ন করতেই বৃহস্পতিবার বিকেলে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে। কীভাবে সপ্তাহখানেক আগে দাদু এবং মামা মিলে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছে। ঘটনার কথা জানার পরই নিজের বাবা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির মা। অভিযোগ পেয়েই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্ত বছর পঞ্চাশের দাদু এবং ৩৮ বছরের মামা সঞ্জয়কে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটি তার মাকে জানায়, দিন কয়েক আগে মামা তাকে এবং ভাইকে সিঙারা খাওয়ানোর জন্য নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়।  সেখানে আগে থেকেই ছিল মায়ের বাবা অর্থাৎ দাদু। কিন্তু খাবার দেওয়ার বদলে দরজা বন্ধ করে ভাইয়ের সামনে তার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালায় দু’জনে মিলে। কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীর রক্তে ভেসে যায়৷ তখন ভাই-বোনকে সিঙারা কিনে বাড়ি পাঠিয়ে দেন অভিযুক্তরা। এমনকি মেয়েটির হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে তাঁরা ঘটনার কথা কাউকে না বলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা শিশুটি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির ধৃত দাদু এবং মামা দু’জনেই পেশায় মজুর। দু’জনেই নিয়মিত মদ্যপান করেন এবং ঘটনার দিনও তাঁরা মাদকাসক্ত ছিলেন। শিশুটির বাবা-মাও পেশায় মজুর। ওই দিন তাঁরা কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে অভিযুক্তরা ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *