লখনউ: ঘড়িতে তখন রাত তিনটে৷ তখনও অন্ধকার৷ ঈশান কোণ তখনও রাঙা হয়নি৷ গভীর মুখে গোটা রাজ্য৷ ঘুমে আচ্ছন্ন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও৷ কিন্তু, তাতে কি! নিজের ইস্তফাপত্র পত্র হাতে সটান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের হাজির মন্ত্রী৷
রাতদুপুরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে চান রাজ্যের এক মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভর৷ নিজের ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে যোগীর বাড়িতে হাজির হওয়া মন্ত্রী দাবি করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু বাসভবনের কর্মীরা জানান মুখ্যমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন৷ এ কথা শুনে চলে যান মন্ত্রী। ওমপ্রকাশ, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজপার্টির নেতা। বিজেপির সঙ্গে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের এই দলটির জোট আছে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই জোট রাখা নিয়ে অনিহা দেখান ওমপ্রকাশ। তাঁর ক্ষোভ সামাল দিতে কয়েক মাস আগে তাঁকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তখনকার মতো গোলমাল মিটে যায়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে আবার বিতর্ক দানা বাঁধে। রাজভরের দল পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। বিজেপি রাজি হয়নি। সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করার পর পূর্ব উত্তরপ্রদেশে তাঁদের দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন ওমপ্রকাশ।
জানা গিয়েছে, তাতেও আপত্তি করেছেন যোগী। তিনি বলেছেন ঘোষিত আসন থেকে ওমপ্রকাশের দলের কেউ লড়তে পারেন, তবে তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হবে পদ্মফুল। পরে বালিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রেগে গিয়েছিলেন বলেই রাত তিনটের সময় সেখানে পৌঁছে যান। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আধিকারিকরা বলেন যোগী ঘুমোচ্ছেন তাই সকালে আসতে হবে। কিন্তু সকালেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর কথায়, আমি বারবার যোগী থেকে শুরু করে অমিত শাহকে বলে আসছি আমাদের নিজেদের প্রতীকে লড়তে দেওয়া হোক। আমরা এনডিএ-র শরিক একটা-দুটো আসনে লড়তে না দিলে ভোটারদের আমরা কী বলব? এখন নিজেরাই ২৫টি আসনে লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমপ্রকাশের দল।