নয়াদিল্লি: নগর পুড়লে দেবালয় বাঁচে না। দেশজোড়া করোনার আঁচ থেকে রক্ষা পেল না সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতের ৫০ শতাংশ কর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বিচারপতিরা আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করবেন এবং বিভিন্ন বেঞ্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হবে৷ এভাবেই সব মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে৷
শীর্ষ আদলতের ঘর-সহ গোটা চত্বর সংক্রমণমুক্ত করতে স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে ৷ আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চ নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পরে শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে , হয় ১০.৩০ নয়তো ১১.৩০৷ বেশ কয়েকজন কর্মী এবং তাঁদের পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সিজেআই এবং বিচারপতিরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, এই পরিস্থিতিতে করোনা ঠেকাতে সাবধানতা অবলম্বন করা খুব জরুরি৷ গত বছর করোনা ভাইরাসে ছ’জন বিচারপিত আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ এক বিচারপতি জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কর্মী ও আইন বিভাগের ক্লার্কের কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ কয়েকজন বিচারপতিও করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন, তবে তাঁরা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানীতে আছড়ে পড়া করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণের ওপর জোর দিচ্ছে আমআদমির সরকার। ফের একবার করোনা ভাইরাস টিকাকরণের বয়সসীমা তুলে দিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করেছি, করোনার টিকাকরণের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার জন্য ৷ দিল্লি সরকার সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দিতে প্রস্তুত ৷ দিল্লিতে তৃতীয়বার সংক্রমণ বৃদ্ধির সময়ও এত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি৷ যা এই চতুর্থ ইনিংসের পর তৈরি হয়েছে ৷’ গত ২৪ ঘণ্টার সব রেকর্ড ভেঙে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৯। এই মুহুর্তে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে এক কোটি ৩৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭১৭ জনে।