কলকাতা: প্রথম দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪০ শতাংশ বুথে কন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করল কমিশন৷ রায়গঞ্জে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আশ্বাস কমিশনের৷ এছাড়াও পরবর্তি ধাপে কোন দফায় কত বাহিনী মোতায়ন করা হবে তাও মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়৷
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানান, তৃতীয় দফায় বাংলা ভোটের বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৪০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ চতুর্থ দফায় বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৩৮৩ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ পঞ্চম দফায় বুথ পাহারার দায়িত্বে থাকবে ৪০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ষষ্ঠ দফায় থাকবে ৩৯৫ ও শেষ দফায় ৩৪৪ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে৷ পরিসংখ্যান বলছে, বাকি দফাগুলিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুথেই থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ৷
প্রথম দফায় ৫১ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। দ্বিতীয় দফায় প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৫৫ শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দ্বিতীয় দফার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ৫৩৯০টি বুথের ৮০ শতাংশতে বুথে বাহিনীর পাহারার দায়িত্বে থাকবেন ১৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ শুধুমাত্র রায়গঞ্জের মোতায়ন থাকবে ৬৪ কোম্পানি বাহিনী৷ বাকি ২০ শতাংশ বুথে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ৷
সেই সব বুথে থাকবে সিসিটিভি, ওয়েবকাস্টিং, ভিডিওগ্রাফি এবং মাইক্রো অবজারভার৷ তবে এবার স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও ওয়েবকাস্টিং করার ব্যবস্থা থাকবে। যার মাধ্যমে কলকাতা ও দিল্লিতে বসে কমিশনের কর্তারা সেই বুথের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন।
প্রথম দফার মতো যাতে বহু অভিযোগ না আসে, তার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সোমবার দিল্লি থেকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে। সেখানে রাজ্যের সিইও আরিজ আফতাব এবং অফিসাররা ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তারাও। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করতে হবে। যে সংখ্যক ফোর্স আসবে, তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। ভোটারদের মনে আস্থা ফেরাতে ভোটের আগে থেকে এলাকায় এলাকায় রুট মার্চ করাতে হবে।