চন্দ্রপুর: করোনার ভয়াল গ্রাসে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে গোটা দেশ৷ আক্রান্তের সংখ্যা এত দ্রুত হারে বাড়ছে যে করোনা রোগীরা নূন্যতম চিকিৎসাটুকুও পাচ্ছেন না। হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, ভেন্টিলেটর নেই। চোখের সামনে স্রেফ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন একের পর এক রোগী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব খবর ছড়িয়ে পড়ছে মাঝে মধ্যেই, সেই মারাত্মক ছবি দেখে ভয়ে শিউরে উঠছে মানুষ৷ সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি এতই হৃদয়বিদারক অথচ তা দেখে যন্ত্রণা পাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি চিকিৎসকদের কাছে কাতর আবেদন করছেন তাঁর করোনা আক্রান্ত বাবার জন্য। বলছেন, ‘হয় তাঁকে হাসপাতালে একটা বেড দিন, না হলে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে দিন ।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সাগর কিশোর। মহারাষ্ট্র আর তেলেঙ্গানার বিভিন্ন হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ঘুরেছেন তিনি৷ কিন্তু কোনও হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নেয়নি। সাগরের বাবার অবস্থা এখন সংকটজনক। অক্সিজেন লেভেল ক্রমশই কমে যাচ্ছে। মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। অথচ কোথাও চিকিৎসা করার নূন্যতম পরিকাঠামোটুকুও নেই। এই অবস্থায় বাবাকে আবার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান ওই ব্যক্তি। এই করোনা আবহে মহারাষ্ট্রের অবস্থাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক। প্রত্যেকদিন সেখানে ৬০-৭০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃতের সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে৷
কয়েকদিন আগেই প্রায় একইরকম আরও একটি ঘটনা দেখা গিয়েছিল। করোনা আক্রান্ত বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ৩০ বছরের এক মহিলা হাজারিবাগ থেকে রাঁচি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের পার্কিংয়ে এত ভিড় ছিল যে সেখানে ৩০ মিনিট দেরি হয়। এরপর সমস্ত বাধা পেরিয়ে যখন তিনি বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেন, ততক্ষণে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে।