একই বেডে দু’জন, কখনও তিনজন রোগী! করোনায় করুণ অবস্থা রাজধানীর

একই বেডে দু’জন, কখনও তিনজন রোগী! করোনায় করুণ অবস্থা রাজধানীর

09eecd17c6bfba61a7510083b073d388

নয়াদিল্লি: দেশের অবস্থা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি খারাপ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে। হাসপাতালে যেসব চিত্র ধরা পড়ছে তাতে আশঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। রাজধানী দিল্লিতে হাসপাতালের যে চিত্র ধরা পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বেডে শুয়ে রয়েছেন দুইজন অথবা তিনজন করোনাভাইরাস রোগী। সকলের মুখেই অক্সিজেন মাস্ক। দিল্লির সরকারি হাসপাতালে এই চিত্র অবশ্য ভাবে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়েছে হু হু করে।

লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ১,৫০০-এর বেশি বেড রয়েছে করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য। কিন্তু সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা এত বেশি যে একটি বেডে দুজন বা কখনো তিনজন করে শোয়াতে হচ্ছে। সংক্রামিতদের মধ্যে সদ্যোজাত সন্তান থেকে শুরু করে বয়স্ক প্রত্যেকেই রয়েছেন। তাই অবশ্য ভাবে নতুন প্রজাতির করনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিকিৎসা মহলের। হাসপাতালে পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মেডিকেল ডিরেক্টর সুরেশ কুমার জানাচ্ছেন, রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলেও তারা নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। তবে রাতারাতি ওই হাসপাতালে ৩০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের বেড গুলিতে যারা রোগী রয়েছে তারা অধিকাংশই একে অপরকে চেনেন না, কিন্তু একসঙ্গে একই বেডে চিকিৎসা হচ্ছে তাদের।

 

তবে দিল্লিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তার জন্য সাধারণ মানুষকেই দায়ী করছে চিকিৎসক মহল। কারণ দাবি করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ কিছুতেই করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মানছেন না এবং অসচেতন হয়ে পড়েছেন। যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের দেহ হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডের বাইরে রাখা হয়েছে আপাতত। সম্প্রতি, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নয়াদিল্লির। সেই প্রেক্ষিতে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে জারি হচ্ছে নাইট কার্ফু। একইসঙ্গে বন্ধ থাকছে জিম এবং রেস্তোরাঁ। এইসময় অন্যান্য কিছু চালু না থাকলেও অতিরিক্ত জরুরী পরিষেবা যেমন হাসপাতাল, ওষুধের দোকান এবং দুধের দোকান খোলা থাকবে। একইসঙ্গে হোম ডেলিভারির অনুমতি আছে। তবে সিনেমাহল চালাতে হবে ৩০ শতাংশ দর্শক নিয়ে। একইসঙ্গে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান এবং বেসরকারি অফিস গুলিতে কর্মী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *