মহাকাশে ধাক্কা! কক্ষপথে পৌঁছতেই পারল না চিনের প্রথম মিথেন জ্বালানির রকেট, ধ্বংস ১৪টি উপগ্রহ

মহাকাশে ধাক্কা! কক্ষপথে পৌঁছতেই পারল না চিনের প্রথম মিথেন জ্বালানির রকেট, ধ্বংস ১৪টি উপগ্রহ

9587e82f20500ebbea58706d0018eb14

 কলকাতা:  অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং উপত্যকায় চিনা বাহিনীর হামলার পর থেকেই এলএসি (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনচট্রোল)-তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে৷ চিনা গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা৷ এই উত্তেজনার আবহেই বৃহস্পতিবার অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপন করে ভারত৷ তবে বড়সড় ধাক্কা খেল চিন৷ মহাকাশ অভিযানের সাফল্যের আশায় ১৪টি স্যাটেলাইট হারাল বেজিং৷ মিথেন-জ্বালানিযুক্ত রকেটের সাহায্যে বিশ্বে প্রথম এই স্যাটেলাইটগুলি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু রকেটটি কক্ষপথ পর্যন্ত পৌঁছতেই পারল না৷ 

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও লাভ হল না! আরও চাপে পিএনবি কেলেঙ্কারির পাণ্ডা

Zhuque-2 (Zuk-2) নামের এই রকেটটি তৈরি করেছে বেজিং-এর সংস্থা ল্যান্ডস্পেস। বুধবার রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়, যা বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা চিনের প্রথম প্রপেলান্ট রকেট৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, Zhuque-2 রকেটটি গোবি মরুভূমিতে চিনের জিউয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল স্যাটেলাইটগুলিকে কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া৷ প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, রকেটটি দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যর্থ হওয়ায় সমস্ত স্যাটেলাইটই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ 

যদিও চিনা মহাকাশ সংস্থার তরফে এখনও এই উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত কোনও বিবৃতি জারি দেওয়া হয়নি। টুইটারে প্রকাশিত ফুটেজ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, উৎক্ষেপণের পর রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রুটি ধরা পড়ে৷ যার ফলে এটি কক্ষপথে পৌঁছছে পারেনি৷ 

স্পেসনিউজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রকেট প্রস্তুতকারী সংস্থা আরও একটি Zhuque-2 রকেটের উপর কাজ করছে। যদিও ঠিক কবে ফের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে তা এখনও জানা যায়নি। Zhuque-2-এর ব্যর্থতা সত্ত্বেও, চিন দ্রুত তার মহাকাশ অভিযানের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই বছর  প্রায় ৬০ টি সফল উৎক্ষেপণ করেছে। সম্প্রতি নিজস্ব স্পেস স্টেশনের (তিয়ানগং স্পেস স্টেশন) নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করেছে।

তিয়ানগং স্পেশ স্টেশনে অন্তত আগামী এক দশক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। সেখানে বাণিজ্যিক মিশন এবং পর্যটকদের জন্য অরবিটাল সুযোগ-সুবিধা শুরু করতে চান। পরিদর্শনকারী কার্গো, ক্রু এবং ডকিং মহাকাশযান সহ সম্পূর্ণ মহাকাশ স্টেশনটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বড় বলে জানা গিয়েছে। এর ওজন  প্রায় ৪৬০ টন।

মাস কয়েক আগে চিনের কার্গো স্পেশক্র্যাফট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠেছিল। জ্বলন্ত সেই টুকরো এসে পড়েছিল পৃথিবীতে। আরও একবার ব্যর্থতার মুখ দেখল চিন৷