গুলি-বোমা-লাঠিচার্জ-সংঘর্ষ! ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, জানালেন দুবে

কলকাতা: চলছে ভোট৷ তুঙ্গে আশান্তি৷ ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরলেন স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার বিবেক দুবে৷ কলকাতায় পা রেখেই স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার সাফ জানিয়ে দিলেন, মোটের উপর স্বাভাবিক দ্বিতীয় দফার ভোট৷ দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বাকি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে৷ শহর ফিরতেই সংবাদিকদের তরফে চোপড়ার ঘটনার কথা বিবেক দুবের কাছে জানতে চাওয়া হয়৷ সংবাদিকদের মুখে চোপড়ার

7389ebc33a4e3f71bb1835442c6fde1e

গুলি-বোমা-লাঠিচার্জ-সংঘর্ষ! ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, জানালেন দুবে

কলকাতা: চলছে ভোট৷ তুঙ্গে আশান্তি৷ ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরলেন স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার বিবেক দুবে৷ কলকাতায় পা রেখেই স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার সাফ জানিয়ে দিলেন, মোটের উপর স্বাভাবিক দ্বিতীয় দফার ভোট৷ দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বাকি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে৷

শহর ফিরতেই সংবাদিকদের তরফে চোপড়ার ঘটনার কথা বিবেক দুবের কাছে জানতে চাওয়া হয়৷ সংবাদিকদের মুখে চোপড়ার প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদেরকে আধাসেনা দিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ কিন্তু, আগে থেকে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? গত পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে কেন চোপড়ার ১৮০ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতান করা হয়নি, এবিষয়ে কিছুই বলতে চাননি দুবে৷

ভোটগ্রহণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া৷ ক্ষিপ্ত জনতা বাগে আনতে লাঠচার্জ করতে হয় পুলিশকে শূন্যগুলিও চলে৷ পাল্টা বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে৷ জনতাকে বাগে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়৷ পাল্টা পাথর বৃষ্টিও করা হয়৷

গুলি-বোমা-লাঠিচার্জ-সংঘর্ষ! ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, জানালেন দুবেভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা খানিকের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়া৷ ১৮০ নম্বর বুথে তীব্র উত্তেজনা৷ ভোটারদের মারধরের অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশ আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ কিছুতেই পরিস্থিনি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে জনতা লক্ষ্য করে বেপরোয়া ভাবে লাঠি চার্জ করে পুলিশ৷ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়৷ পাল্টা পুলিশকে বাধা দিতে শুরু হয় বোমাবাজি৷ অন্তত তিন চারটি বোমা ফাটানো হয়েছে৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টির অভিযোগ৷

ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া ১৮০ নম্বর বুথ৷ ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের৷ অভিযোগ, তৃণমূলী তাণ্ডবের জেরে ১৮০ নম্বর বুথ থেকে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়ে যান বিজেপি এজেন্ট৷ পরে, চোপড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই দোকানপাট বন্ধ করে দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নেমেছে ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনীষ শুরু হয়েছে টহল৷ এদিন পুলিশের সামনেই নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা৷ নির্বাচন আধিকারিক ও পুলিশ কর্তাদের বিক্ষোভ দেখান জনতা৷

এদিন সকালে স্থানীয় মহিলা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মহিলাদের মারধরের অভিযোগ চোপড়ায়৷ চোপড়ায় বাইক বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ৷ ভোট দিতে যাওয়ায় বাধা৷ মহিলা, বয়স্কদের মারধরের অভিযোগ৷ চোপড়া বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ চোপড়ার দিঘির কলোনির মির্ধা বস্তিতে অশান্তির অভিযোগ৷ ঘটনায় আটক এক তৃণমূল কর্মী৷

ভোট দিয়ে কী হবে? ভোটারদের রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলী বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের৷ চোপড়া বাস-স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় প্রবল বিক্ষোভ দেন স্থানীয়রা৷ প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাঁরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট বয়কটের ডাক বাসিন্দাদের৷

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক একই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও এবার নিজের ভোট নিজে দিতে বদ্ধপরিকর চোপড়ার জনতা৷ বৃহস্পতিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চোপড়া ১৮০ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হলে ফের এলাকায় অশান্তি হতে পারে৷ ফলে, যতক্ষণ মনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, ততক্ষণ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেই যাবেন না বাসিন্দারা৷ এদিন প্রকাশ্যে স্থানীয়রা জানান, পুলিশের উপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই৷ ফের, ভোট শুরু হলে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালাতে পারে৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন সকালে ভোট শুরু হতেই তাণ্ডব শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র যেতে ভোটারদের বাঁধা দেওয়া হয়৷ রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় ভোটারদের৷ ভোটারদের উপর মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়েই জোট বাঁধেন স্থানীয়রা৷ পাল্টা গড়ে তোলেন প্রতিরোধ৷ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন৷ পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ স্থানীয়দের শান্ত করানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু, উল্টে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান জনতা৷ পরে, ভোটারদের মারধরের অভিযোগে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা৷ এর পরই শুরু হয় পাথর বৃষ্টি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *