লকডাউনে ঘরবন্দি প্রেমিকা, কাছে যাব কীভাবে? পুলিশকে প্রশ্ন যুবকের! মিলল জবাব

লকডাউনে ঘরবন্দি প্রেমিকা, কাছে যাব কীভাবে? পুলিশকে প্রশ্ন যুবকের! মিলল জবাব

1e20e95ee071a413be9bda8cd552a635

মুম্বই: মহারাষ্ট্র বিশেষত দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত এত বেশি যে, তা সামাল দিতে রাস্তায় নেমে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে সেখানকার পুলিশকে৷ এই ব্যস্ততার মধ্যেই এক অদ্ভুত প্রশ্নের মুখোমুখি মুম্বই পুলিশ৷ প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে‌ গাড়িতে কোন রঙের স্টিকার ব্যবহার করব? সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এই প্রশ্ন করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক৷ যদিও এই চরম সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও পুলিশ মাথা গরম না করে বা ধমক না দিয়ে একেবারে অভিভাবকের মতোই দারুণ উত্তর দিয়েছে৷

মুম্বইয়ের বাসিন্দা অশ্বিন বিনোদ নামে ওই যুবক মুম্বই পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলে জানতে চান, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে কী রঙের স্টিকার ব্যবহার করব? ওকে খুব মিস করছি। যুবককে দারুণ উত্তর দিয়েছে মুম্বই পুলিশ৷ এই প্রশ্নের জবাবে মুম্বই পুলিশের তরফে টুইটারে লেখা হয়, ‘আমরা বুঝতে পারছি এটা আপনার জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, এই বিষয়টি আমাদের জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে না। দূরত্বের ফলে হৃদয়ের টান বাড়ে। আর এই বিধিনিষেধ করোনা পরিস্থিতিতে আপনাকে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে। সারাজীবন একসঙ্গে থাকার জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি।’

মুম্বই পুলিশের এইরকম সৌজন্যে আপ্লুত নেটিজনরা। পুলিশের দুর্দান্ত এই জবাবকে সাধুবাদ জানাতে ভোলেননি মানুষ। তবে এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে৷ যেমন, অনেকের মতে, এইসব কাজে সময় নষ্ট না করে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত পুলিশের। বলা বাহুল্য, মানুষজনকে সচেতন করতে নানারকমভাবে উদ্যোগ নিয়েছে মুম্বই পুলিশ। আর এক্ষেত্রেও সেই মানবিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে মহারাষ্ট্রে৷ গত সপ্তাহেই মুম্বইয়ে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র যাঁরা করোনা যুদ্ধে সামিল, যেমন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অক্সিজেন সরবরাহকারী বা অ্যাম্বুল্যান্সের চালক, তাঁদের গাড়িতে লাগাতে হবে বিশেষ রঙের একটি স্টিকার। সেই স্টিকার দেখলেই গাড়ি ছেড়ে দেবে মুম্বই পুলিশ। ফলে যানজট এড়ানোও সম্ভব হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *