আজ বিকেল: দলীয় কর্মীরা অন্যায়ভাবে জনসাধারণের উপরে অত্যাচার করছে, মানতে পারেন না তৃণমূলনেত্রী। তাই যতবার দলীয় সভায় গিয়েছেন কর্মীদের কড়াহাতে শাসন করার চেষ্টা করেছেন। সেই তৃণমূলের প্রচার মঞ্চে কিনা কুখ্যাত মাফিয়া। আর সেই একই মঞ্চে স্বয়ং মা মাটি মানুষের নেত্রী উপস্থিত!
শেষমেশ কিনা ভোটে জিততে খুনে মাফিয়াকে নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। খবরটি পাঁচকান হাতেই একযোগে কটাক্ষ শুরু করেছে বিজেপি ও সিপিএম। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সামসিতে। এদিন মালদায় তিনটি সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। তৃতীয় দফায় ভোট হতে চলেছে মালদহের দুই কেন্দ্রে। এদিন তারই প্রস্তুতিতে প্রচারে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ উত্তর কেন্দ্রের সামসিতে একটি জনসভায় মমতার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা, যাঁর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
মালদার রতুয়া ২ নং ব্লকের বাহারাল অঞ্চলের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াসিন। খুন, ডাকাতি-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে বহুবার জেল খাটা আসামি ইয়াসিন। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী তাকে মঞ্চে রেখেছেন যাতে, সে ভোটের দিন বুথ দখল করতে পারে। এখন থেকেই বিরোধীদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ আমাদের কোনও কথাই শুনছে না। নির্বাচন কমিশনকে আমরা জানিয়েছি।”
জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র-র বক্তব্য, “পঞ্চায়েত ভোটে রতুয়ায় বাহারালে বন্দুক উঁচিয়ে ভোট করায় ইয়াসিন। ওকে বাইরে রেখে লোকসভা নির্বাচনও অবাধ হওয়া সম্ভব নয়। আমরা অনেক আগেই পুলিসের কাছে ইয়াসিনকে গ্রেফতার করার আবেদন জানিয়েছি। পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে ইয়াসিন। এই ছবিই রতুয়া এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে।” যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।