নভেম্বরেই ‘সেকেন্ড ওয়েভের’ সর্তকতা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র

নভেম্বরেই ‘সেকেন্ড ওয়েভের’ সর্তকতা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র

939b14ccdc3d845128a886896ac628a0

নয়াদিল্লি: গত বছর মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা শুরু হয়েছিল দেশে যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ঘুম কেড়ে নিয়েছিল সকলের। ২০২০ সাল দেশ এবং বিশ্ববাসীর কাছে কেমন ভাবে কেটেছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই সময়ই বিজ্ঞানীরা সর্তকতা দিয়েছিলেন যে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ হয়ে আসতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেই এখন স্পষ্ট। যার ফলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যাপকভাবে সমস্যার মধ্যে পড়েছে ভারতবর্ষের। ভ্যাকসিন সমস্যা থেকে শুরু করে অক্সিজেনের আকাল, সব মিলিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থায় দেশ।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে কোন ভাইরাস অতিমারির একটা সেকেন্ড ওয়েভ থাকে। সেই প্রেক্ষিতে আন্দাজমতো নভেম্বর মাসেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা। গতবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিল কেন্দ্র, কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে এই এক বছরে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়তো সম্ভব হত কিন্তু তা নেওয়া হয়নি বলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এখন। এই এক বছরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় নজর দিয়ে যদি অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে হত তাহলে এখন দেশবাসীকে এত ভুগতে হত না। কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে অক্সিজেনের আকালে রোগী মারা যাচ্ছেন তবে অবশ্যই এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে বিগত এক বছর হতে সময় পেলেও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে বছর শুরু হতে না হতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশে। যার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজীব ভূষণের পদত্যাগ দাবি করেছেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে বিগত এক বছরের মধ্যে বিপুল হারে অক্সিজেন রফতানি করেছে ভারত। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ভাবে দেশের অক্সিজেন বিদেশে রফতানি করল সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এর পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং অক্সিজেন প্লান্টের দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে দাবি করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত অনেক আগেই পেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার তবুও পরিস্থিতির একেবারে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আর সেই কারণেই এখন ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *