দেশের অর্থনৈতিক গতিতে কামড় বসাচ্ছে করোনা, জমছে আশঙ্কার মেঘ

দেশের অর্থনৈতিক গতিতে কামড় বসাচ্ছে করোনা, জমছে আশঙ্কার মেঘ

bd85ac3ea6102f160fa0058562fdf802

নয়াদিল্লি: বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে এসেছে যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ দিকে যাচ্ছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে থেকে ভারতের বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সমস্যা তুলে ধরে বিজেপি সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে বিরোধীরা। এরপর গত বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেশের অর্থনৈতিক ভিত যেন আরও বেশি করে নড়িয়ে দিয়েছিল। সংক্রমণের ফলে দীর্ঘ লকডাউন দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ করে দিয়েছিল আরো। যদিও ২ সপ্তাহ আগে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারিং ফান্ড আইএমএফ, ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ভারতের অর্থনৈতিক গতি বর্তমান সময়ে ভালো মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকি সেই গতি বিশ্বের নিরিখে সবচেয়ে দ্রুত হতে পারে। যদিও ফের একবার করো না ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব আপাতত সেই সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দিচ্ছে।

ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক হাড় বৃদ্ধির ফলে লকডাউন-কার্ফু ঘোষণা হয়েছে রাজধানী দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে। আগামী বেশ কয়েকদিন লকডাউন থাকবে এবং যার ফলে ফের একবার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে দেশের। কারণ এই দুই রাজ্য থেকেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনেকটা অংশ নির্ভর করে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার কোনো ইঙ্গিত দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রাজ্য সরকার গুলিকে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিয়ে কিভাবে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব তার দিকে নজর দিতে বলেছেন। শুধুমাত্র এই একটা কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হয়তো অর্থনৈতিক গতি শ্লথ হয়ে পড়বে না যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিন্তু সম্ভাবনা যে একটা রয়েই গিয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। এই প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের অর্থনৈতিক গতি হয়তো হয়তো বাড়বে কিন্তু আপাতত সেই বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত,  গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১, যা এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক। একই সঙ্গে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে দেশে, ২,৭৬৭ জনের। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যের একদিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,০০০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *