ঘাটাল: ভোটের মুখে ফের বিপাকে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ৷ ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ। ভারতী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির। দাসপুরের সোনাকাণ্ডে ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ। দাসপুরে ভারতী ঘোষের বাড়িতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ৷
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, ভারতীকে রাজ্য পুলিশ জেরা করতে পারবে৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল ‘পতালক’ ভারতী ঘোষের মমলা৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ মঙ্গলবার জানান, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ভারতী ঘোষকে৷ এদিন বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীদের উদ্দেশে জানান, আপনারা নোটিশ পাঠিয়ে জেরার জন্য ডেকে পাঠান ভারতী ঘোষকে৷ ডাকার পরেও উনি হাজিরা না দিলে তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব৷ কিন্তু এখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ এপ্রিল৷ তবে, তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হলেও ভারতীর ভোটের প্রচারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি দেশের শীর্ষ আদালত৷
এদিন আদালতের নির্দেশ মেনে সটান ভারতী ঘোষের বাড়িতে চলে যান সিআইডির কর্তারা৷ গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতী ঘোষের বাড়ি থেকে কয়েক কোটি নগদ টাকা, কয়েক কেজি সোনার গয়না, ও বিপুল অর্থভাণ্ডার উদ্ধার হয়৷ পাঁচটা বড় সাইজের টিনের বাক্সে ভারতীর অর্থভাণ্ডার টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে ভরেন সিআইডি অফিসারেরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সোনার ব্যবসায়ী চন্দন মাঝির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়েছে ভারতীর বিরুদ্ধে। চন্দনের অভিযোগ ছিল, নোটবন্দির সময় বেশি টাকা ফেরত পাওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৩৭৫ গ্রাম সোনা নিয়েছিলেন ভারতী। কিন্তু, পরে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি তাঁকে। সেই মামলারই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন ভারতীর মাদুরদহের আবাসনে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি উদ্ধার করতে যান সিআইডি অফিসারেরা। তদন্তকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, ওই আবাসনে ভারতী এবং তাঁর স্বামীর একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। গত বছরর ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় নগদ ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। সেই সঙ্গে গয়না ও কয়েকটি মোবাইল ফোন। তা ছাড়া তল্লাশি চলে ভারতীর নাকতলার ফ্ল্যাটেও। সব মিলিয়ে নগদ টাকার পরিমাণ ৪ কোটিরও বেশি। সিআইডি বেআইনি ভাবে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে অভিযোগও করেন ভারতী।