মালদহ: মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভরসা সেই ‘গনি মিথ’। বরকত গনিখান চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৩টা বছর অতিক্রান্ত। তবুও এই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে ভোট করতে হয় ‘মালদহের রূপকার’ এর নাম নিয়েই। ‘গনি মিথ’ না ভাঙলে জেতা যে অসম্ভব তা পদ্মফুল, জোড়াফুল সব শিবিরই জানে। তাই ‘গনি মিথ’ ভাঙার অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূল।
এই লোকসভার অধীন মালদহ জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসকে টপকানো কঠিন বুঝেই ফরাক্কা ও সামসেরগঞ্জের উপর আবদ্ধ শাসকদলের ‘শ্যেন দৃষ্টি’। তবে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিও লড়াইয়ে আছে। অনেকেই বলছে, গত বিধানসভা ভোটে বৈষ্ণবনগর জিতে গেরুয়া শিবির ইট পেতে রেখেছে। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। বাম ভোটে থাবা বসিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে বিজেপি ও তৃণমূলও মরিয়া।
ফলে প্রার্থীহীন এই কেন্দ্রে বামেদের ভোট বিভাজন এক প্রকার নিশ্চিত। ইংলিশবাজার এলাকায় শাসক দলের কিছু নেতার দলের বাইরেও ব্যক্তিগত ভোট রয়েছে। নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাঁদের এই ‘পকেট ভোট’ হয়ে উঠত দলের সম্পদ। কিন্তু, অন্যকে হেয় করে তৃপ্তিলাভে মশগুল কিছু ‘কালিদাস মার্কা’ নেতার ‘পকেট ভোটে’ বিরোধী শিবিরের ঝুলি ভরে। ফলে শহরের প্রথম সারির নেতাদের অধিকাংশই তৃণমূলে থাকলেও ভোটে জেতে বিরোধীরাই। তৃণমূলের মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ‘নরমে গরমে’ এককাট্টা করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, শুভেন্দুবাবু এই কাজে সফল হলে তিনি কুকুরের লেজও সোজা করতে পারবেন। প্রায় ৬৩ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনে জবরদস্ত লড়াই দিতে তৈরি গেরুয়া শিবির। দলের মালদহ জেলার মুখপাত্র অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভোটের মেরুকরণ ঘটলেও বহু মুসলিম আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা সফল হবে না। এখানে আমাদের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই।