রাজসমন্দ: রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে গত পাঁচ বছর কাজ না করা বিদায়ী সাংসদদের টিকিট দিচ্ছে না কেন্দ্রের শাসকদল। মেবারের রাজসমন্দেও সেই ছবিই দেখা গিয়েছে। এমনিতেই মরুরাজ্যের কোনও নির্বাচনই রাজপরিবারের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। সেই প্রথা মেনেই বিদায়ী সাংসদ হরিওম সিং রাঠোরের পরিবর্তে এবার জয়পুরের রাজকন্যা দিয়া কুমারীকে রাজসমন্দে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গত বছরই দীর্ঘ ন’বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন সওয়াই মাধোপুরের এই প্রাক্তন বিধায়ক।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি বসুন্ধরা রাজের দল। তার ফল ভুগতে হয়েছে বিজেপিকে। সওয়াই মাধোপুরে ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। এবার আর সেই ভুল করেনি বিজেপি। রাজসমন্দে এবারে রাজকন্যার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দেবকীনন্দন গুর্জর। তাঁকে হারাতে সৈনিক বাবা এবং সেনাবাহিনীর নাম জপছেন দিয়া কুমারী।
জয়পুরের রাজপরিবার শেষবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল ১৯৮৯ সালে। গিরিধারীলাল ভার্গবের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধের নায়ক ‘মহাবীরচক্র’প্রাপ্ত মহারাজা ভবানী সিং। তাঁর নেতৃত্বেই পাকিস্তানের ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় সেনা। এবার মেবার থেকে মহারাজা ভবানীর কন্যা দিয়া কুমারীর ভাগ্যপরীক্ষা হবে। মহারাণা প্রতাপের বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবরের সেনাপতি মান সিংয়ের বংশধর তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে সওয়াই মাধোপুরের বাইরে থেকে ভোটে লড়তে চাননি দিয়া। এবারে জয়পুর থেকেই লড়তে চেয়েচিলেন তিনি। কিন্তু জয়পুর গ্রামীন আসনটিতে রাজ্যবর্ধন রাঠোরকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অগত্যা জাতপাতের সমীকরণ মেনে রাজসমন্দ থেকেই দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন রাজকন্যা।