নয়াদিল্লি: অত্যন্ত সঙ্গীন রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি৷ অক্সিজেনের অভাবে ফের মৃত্যু হল দিল্লিতে৷ শনিবার দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন আট করোনা আক্রান্ত রোগী৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক চিকিৎসকও৷ গুরুতর অসুস্থ আরও পাঁচ রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চলানো হচ্ছে বলে জানালেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এসসিএল গুপ্তা৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে মমতার বাড়ির সামনে পুড়ল তৃণমূলের পতাকা-ফেস্টুন, পৌঁছল ১ কোম্পানি বাহিনী
এই ৮ জন মৃত করোনা আক্রান্তের মধ্যে এক জন বাত্রা হাসপাতালেরই গ্যাসট্রো বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরকে হামথানি৷ বাত্রা হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর এসসিএল গুপ্তা বলেন, ‘‘অনেক প্রচেষ্টার পরেও এই আট রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ তাঁদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ওয়ার্ডে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন থেকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, তখন থেকেই আমরা সরকারের কাছে অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়ে আসছি৷ এর পরেও অভাব ঘটল৷’’
এদিকে বাত্রা হাসপাতালের এই ঘটনার পর দিল্লি হাইকোর্ট বলে, অক্সিজেনের এই সমস্যার কথা আগেই হাসপাতালের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল৷ তবুও অক্সিজেন দেরিতে পৌঁছয়৷ আদালত আরও জানায়, অক্সিজেন প্লান্ট থাকাটা অত্যন্ত জরুরি৷ প্লান্ট না থাকাটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা৷ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই প্লান্ট তৈরি করা উচিত ছিল আপনাদের (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ)৷ এদিন বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘাই এবং রেখা পল্লির বেঞ্চ আরও জানায়, বাণিজ্যিক দিকটি বিবেচনা করে অনেক হাসপাতালই অক্সিজেন প্লান্টের খরচ কমিয়ে দিয়েছে৷ যেটা হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত জরুরি৷
আরও পড়ুন- করোনার টিকা নিয়ে ধূমপান? এর ফল কী হতে পারে জানেন
অন্যদিকে, আজ জম্মুর বাত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের সরবরাহের অভাবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, হাসপাতালে অক্সিজেন সরবহার পুনরায় শুরু হয়ে গিয়েছে৷ করোনা আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি এই হাসপাতালে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাও চলছে৷ শনিবার সকালে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যহত হয়৷ যার জেরেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪ রোগীর৷