নয়াদিল্লি: দেশে ঝড়ের গতিতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য একটাই মাত্র পথ রয়েছে, গোটা দেশে সার্বিক লকডাউন জারি করা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল সকলেরই একটাই দাবি। কেন এখনও পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি করা হল না? এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন রাহুল গান্ধীও। ট্যুইট করে তিনি কেন্দ্রের কাছে দেশে লকডাউন জারি করার আবেদন করলেন। দেশে করোনা সংক্রমণ থামানোর জন্য এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি।
গত বছর প্রথম করোনা ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় প্রথম থেকেই লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে কোনোরকম পরিকল্পনা ছাড়াই গোটা দেশে সার্বিকভাবে লকডাউন জারি করার মত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে। সেই লকডাউন সমূহ বিপদ ডেকে এনেছিল বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। নিজের রাজ্য ছেড়ে রোজগারের টানে অন্য রাজ্যে যাওয়া মানুষেরা লকডাউনের জেরে সেখানে আটকে পড়েন। দেশজুড়ে গণপরিবহন ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরা মুশকিল হয়ে যায় তাদের। শেষে হাজার হাজার মাইল হেঁটে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের।
এবার দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনোভাবেই দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউনের পথে হাঁটবে না কেন্দ্র। রাজ্যগুলি কেউ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লকডাউনকে একেবারে শেষ বিকল্প হিসেবে রাখার জন্য। কিন্তু এই লকডাউনই যে একমাত্র অস্ত্র তা কেন্দ্রীয় সরকারকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “ভারত সরকারকে এটা আমি স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে চাই যে তাদের যে পরিকল্পনার অভাব তার জন্য একমাত্র পথ সম্পূর্ণ লকডাউন। ভারত সরকারের অনুমতি ও সাহায্যেই এই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে করোনা সংক্রমণ যে তাকে আটকানোর জন্য আর কোনও পথ বাকি নেই। ভারতের বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে।” ন্যূনতম আয় ও সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে লকডাউন করার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল।