ভোপাল: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যে হেরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এর মধ্যে হয়তো সবচেয়ে বড় হার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় একা হাতে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির গোটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বাংলায় মমতার এই জয়ের পর বিজেপি বিরোধী দলগুলি একের পর এক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। মনে করা হচ্ছিল যে এই মুহূর্ত থেকে জাতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদীর প্রধান বিরোধী মুখ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথের কথায় তার ইঙ্গিত আবার একবার মিলল।
কমল বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আমাদের দেশের নেতা। সবচেয়ে কঠিন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। একা হাতে সামলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির মন্ত্রীদের এবং একইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থাদের চাপ। তিনি এখন জাতীয় নেত্রী। বাংলার নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি বিরোধী প্রত্যেক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। শিবসেনা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন এবং বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়কে দরাজ সার্টিফিকেট দেন। এবার কংগ্রেস নেতা কমল নাথের মন্তব্য অবশ্য ভাবে মমতার গ্রহণযোগ্যতা জাতীয় স্তরে যে আরও একটু বাড়িয়ে দিল তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, গতকাল ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে রাজভবনে তৃতীয়বাবের জন্য শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হ্যাট্রিকের নজির একমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমোর ঝুলিতেই৷ এই কৃতিত্বের নজির নেই ছয় বার মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসা জয়ললিতারও৷গতকাল রাজভবনের থ্রোনরুমে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ ২০১১ বা ২০১৬ সালের সেই চমক আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিল না৷ শপথগ্রহণের পর রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ উভয়েই হাতজোড় করে কথা বলেন৷ রাজ্যপালকে ফুলের তোড়া দিয়েও শুভেচ্ছা জানানো হয় দলের তরফে৷ সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান পর্ব৷ এর পর রাজভবনে উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কেশোরের সঙ্গেও কথা বলেন জগদীপ ধনকড়৷ তার চলে ফটো শেসন৷