করোনাকে হারিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী সদ্যোজাত কন্যা, অলৌকিক আজও ঘটে

করোনাকে হারিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী সদ্যোজাত কন্যা, অলৌকিক আজও ঘটে

fdb8029414a2d30fe633c08e0fe4db2e

ভুবনেশ্বর: অলৌকিক আজও ঘটে!

অলৌকিক নয় তো কী! জন্মের মাত্র ১৫ দিনের মাথাতেই শরীরে থাবা করোনার৷ তার পর মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওর৷ বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাওয়া৷ কিন্তু তার পরও ফিরে এসেছে সে৷ তিন সপ্তাহ হাসপাতালে কাটিয়ে ছোট্ট ‘গুড়িয়া’ আজ মৃত্যুঞ্জয়ী৷ যাঁর হাত-যশে ওই সদ্যোজাত আবার ফিরেছে জীবনের ছন্দে, মা-বাবার মুখে ফুটেছে হাসি, সেই চিকিৎসকই তো বলছেন, মিরাকল ছাড়া এ সম্ভব নয়!

ওডিশার কালাহান্ডি জেলায় জন্ম প্রীতি ও অঙ্কিত আগরওয়ালের প্রথম সন্তানের৷ কিন্তু দু’ সপ্তাহ যেতে না যেতেই একরত্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ৷ রীতিমতো জ্বর৷ স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে আসা হয় ভুবনেশ্বরে৷ ভর্তি করা হয় জগন্নাথ হাসপাতালে৷ যে শিশুরোগ চিকিৎসক ওই সদ্যোজাতের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন সেই অরিজিৎ মহাপাত্রর বক্তব্য, ‘যখন শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়, তখনই জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে ওর শরীর৷ কিচ্ছু খাওয়ানো তো যাচ্ছেই না, শরীরেও রীতিমতো খিঁচুনি হচ্ছে। সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই আমরা বাধ্য হই শিশুটিকে ভেন্টিলেটরে রাখতে।’ কিন্তু পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল রীতিমতো সংকটজনক৷ মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওর বাঁচার আশা প্রায় শেষই করে দিয়েছিল৷

কিন্তু হাল ছাড়েননি চিকিৎসক৷ বাবা-মার অনুমতি নিয়ে শিশুটির শরীরে প্রবেশ করানো হয় করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ও অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক৷ এখনও পর্যন্ত অত ছোট শিশুর চিকিৎসায় এই ওষুধুগুলো ব্যবহারের কোনও গবেষণাভিত্তিক প্রমাণ ছিল না৷ ফলে মনে কিছুটা সংশয় থাকলেও, সাহস করে ঝুঁকি নিয়েছিলেন ডাক্তার মহাপাত্র৷ তাঁর কথায়, ‘বিষয়টা ছিল শিশুটির জীবন-মরণের। তবে ওষুধ প্রয়োগের পর থেকেই শিশুটি দারুণ সাড়া দিয়েছে। এই কেস আমার জীবনের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’ মেয়ে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠায় হাসি ফুটেছে মা-বাবার মুখেও৷ মারণ ভাইরাসকে যে হারিয়ে দিয়েছে তাঁদের মেয়ে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *