করোনা যুদ্ধে সামিল ISRO, তৈরি হবে ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর

করোনা যুদ্ধে সামিল ISRO, তৈরি হবে ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর

c62fad3b5532fe345da99d054ff0b2cb

 
তিরুঅনন্তপুরম: কম খরচে ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর তৈরি করে  এবার করোনা যুদ্ধে সামিল ইসরো। ডিআরডিও-র পর এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরাও দেশের এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছেন। মহাকাশে পাঠানোর জন্য রকেট, উপগ্রহ তৈরি করেন যাঁরা, এবার তাঁরাই কম খরচে ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করলেন। দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অতিমারির এই লড়াইয়ে পিছনে থাকতে নারাজ, তা আরও একবার সামনে এল।

তিরুঅনন্তপুরমে অবস্থিত ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ডক্টর এস সোমনাথ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা তিন রকমের ভেন্টিলেটর বানিয়েছেন। তার নাম দিয়েছেন ‘প্রাণ’৷ বাজারে যে ভেন্টিলেটর রয়েছে, সেই প্রযুক্তির কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে ইসরোর নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম প্রয়োজনের কথা ভেবেই তিন রকমের ভেন্টিলেটরগুলি তৈরি করেছেন তাঁরা। ইসরোর উৎপাদিত ভেন্টিলেটরের উৎপাদন খরচও বাজার চলতি ভেন্টিলেটরের থেকে অনেক কম হচ্ছে। এই প্রযুক্তির জন্য ইসরো কোনও পয়সা নেবে না। তবে ইসরো অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে এই ভেন্টিলেটর উৎপাদনের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সংস্থা এই প্রযুক্তি চেয়েছে উৎপাদন করা জন্য। তবে ইসরো জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি এমন কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে যারা প্রচুর পরিমাণে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে সক্ষম। এই যন্ত্রগুলি চালানোর জন্য কোনও ইলেকট্রিক মোটরের প্রয়োজন পড়বে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডেই এই ভেন্টিলেটরগুলি তৈরি করা হবে।

ইসরো অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও তৈরি করছে৷ তার নাম রাখা হয়েছে ‘শ্বাস’। এক্ষেত্রেও ইসরোর লক্ষ্য ছিল, কম খরচে কার্যকরি যন্ত্র তৈরি করা৷ দেশের সেরা বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়াররা ইসরোর হয়ে কাজ করার সময় তাঁদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল কম খরচে কার্যকর যন্ত্র বানানো। ইসরোর ইঞ্জিনিয়াররা এক্ষেত্রেও সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *