মোদির জন্মদিনেও উপহার পাঠাবেন মমতা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বোলপুর: মোদি বলেছিলেন সাৎক্ষকারে৷ এবার মমতা বললেন জনসভায়৷ মোদি-মমতা সম্পর্ক ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে তৈরি হওয়া সমস্ত জল্পনায় জল ঢাকলেন মুখ্যমন্ত্রি স্বয়ং৷ মোদিকে কুর্তা উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গে এবার সরাসরি মুখ খুললেন মমতা৷ সিউড়ির চাঁদমারিতে নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা অনেককেই মিষ্টি পাঠাই৷ আমি কুর্তা পাঠালে দোষটা কোথায়? এটা আমাদের সংস্কৃতি৷’’

মোদির জন্মদিনেও উপহার পাঠাবেন মমতা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বোলপুর: মোদি বলেছিলেন সাৎক্ষকারে৷ এবার মমতা বললেন জনসভায়৷ মোদি-মমতা সম্পর্ক ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে তৈরি হওয়া সমস্ত জল্পনায় জল ঢাকলেন মুখ্যমন্ত্রি স্বয়ং৷ মোদিকে কুর্তা উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গে এবার সরাসরি মুখ খুললেন মমতা৷ সিউড়ির চাঁদমারিতে নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা অনেককেই মিষ্টি পাঠাই৷ আমি কুর্তা পাঠালে দোষটা কোথায়? এটা আমাদের সংস্কৃতি৷’’

এদিন তিনি বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় কাউকে না কাউকে কিছু পাঠায়৷ শুধু নরেন্দ্র মোদি নয়, আমি অনেকেই পাঠায়৷ যাঁরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে৷ তবে, হ্যাঁ৷ ওরা বলেদেয়৷ আমরা বলি না৷ কারণ এটা আমাদের কালচার নয়৷ আমরা পয়লা বৈশাখে সবাইকে মিষ্টি পাঠায়৷ আমরা দুর্গা পুজোয় পাঠায়৷ আমরা এখানকার আম সবার কাছেই পাঠায়৷ কেউ সবাই তো বলে না৷ কার্সি আর পলিটিক্স এক নয়৷ আমি সবার জন্মদিনে চিঠি পাঠায়৷ আপনার জন্মদিনেও পাবেন৷ শুভকামনা সবার করি৷ সুতরাং এভাবে রাজনীতি করা ঠিক নয়৷ আপনার সঙ্গে আমরা কত ভদ্রতা করি বলুন৷ আর আপনি এখানে এসে আমাকে চমকান৷ রোজ আমাকে গুণ্ডা বলেন৷ আমি যদি গুণ্ডা হই, তাহলে আপনি কী?’’

বুধবার অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘দিদি’র প্রসঙ্গ তোলেন মোদি৷ এদিন, অন্য মেজাজে সাক্ষাৎকার দেন মোদি৷ নিজের শৈশব থেকে শুরু করে প্রশাসক হিসাবে তাঁরা দক্ষতার প্রসঙ্গও উঠে আসে৷ রাগ-অভিমান নিয়েও নিজের মতামত জানান মোদি৷ এরপরই ওঠে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের সম্পর্কের প্রসঙ্গ৷ এদিন এই বিষয়ে বলতে গিয়ে গোলাম নবী আজাদের কথা তুলে ধরতেই মোদির মুখে উঠে আসে ‘মমতা দিদি’র কথা৷

বলেন, ‘‘এটা বললে হয়তো আমার নির্বাচনে ক্ষতি হতে পারে, তবুও বলি, আপনি জানানে, মমতাদিও আমার জন্য উপহার পাঠান৷ বছরে দু’তিন বার আমার জন্য কুর্তা পাঠান৷ বাংলাদেশ থেকেও আমার জন্য মিষ্টি পাঠানো হয়৷ মমতাজিও আমাকে দু’এক বার মিষ্টি পাঠিয়েছেন৷ মমতা নিজের পছন্দ করে আমার জন্য কুর্তা পাঠান৷’’

বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক, অক্ষয় কুমারের প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘‘বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা বছরে এক-দু’বার খাওয়া-দাওয়া করি। অনেক আগের কথা, তখন আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না। কোনও একটা কাজে সংসদে গিয়েছিলাম। গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলাম। আমাদের একসঙ্গে আড্ডা মারতে দেখে অবাক হয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপানার একসঙ্গে আড্ডা মারছেন! এই কথায় গুলাম নবি দারুণ কথা বলেছিলেন, আপনারা বাইরে থেকে যা ভাবেন তা নয়। সকলেই পরিবারের মতো।’’

তবে, মোদির এই মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা৷ মোদির মুখে দিদির প্রশংসা শুনে বিরোধী শিবিরে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এটা কি নয়া ‘সেটিং’-এর ইঙ্গিত? বিরোধী শিবিরের তরফে ‘সেটিং’ তত্ত্ব খাঁড়া করা চেষ্টা চলেও মোদি-মমতার রাজনৈতিক সৌজন্যতার বর্তাই এদিন তুলে ধরতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ দাবি গেরুয়া শিবিরের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − two =