আমেথি: নীল চেক শাড়ি, ডান হাতে ঘড়ি, পায়ে চপ্পল। মুখে স্মিত হাসি। সকলকে হাত জোড় করে বলছেন, ‘এই দিদিকে কমল (পদ্ম) ফুলে বোতাম টিপে ছাপ দিন, কাঁচা বাড়ি পাকা হবে, ঘরে ঘরে মিষ্টি জল আসবে। লা-পাতা সাংসদকে আর খুঁজতে দিল্লি যেতে হবে না। আপনাদের সঙ্গেই থাকব।’ কী বুঝছেন? আজাদপুর গ্রামের সভামঞ্চ থেকে নামতেই প্রশ্ন রেখেছিলাম। পরিষ্কার বাংলায় রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বী জবাব দিলেন, ‘লিখে নিন, এবার আমেথিতে ইন্দ্রপতন হতে চলেছে। আমি গত বছর হেরে গিয়েও চলে যাইনি। ভবিষ্যতেও থাকব। জিতে এখানে থাকার জন্য বাড়ি বানাব।’
পশ্চিমবঙ্গে ‘দিদি’ বলতে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমেথি ঘুরে মনে হল, এখানে নিজেকে ‘দিদি’ বলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন ‘শাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালের তুলসী। মোদি সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘিরে কম বিতর্ক কম হয়নি। এমনকী এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও মাথাচাড়া দিয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক। কিন্তু সেসবের পরোয়া না করে গান্ধী পরিবারের ‘গড়’ আমেথিতে পদ্ম ফোটাতে বদ্ধপরিকর ‘দিদি’ স্মৃতি। চষে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম। চাঁদোয়া বিছিয়ে একেবারে ঘরোয়া সভা করছেন। ভারী বক্তৃতা নয়, একেবারে গ্রাম্য হিন্দিতে সহজ-সরল মানুষগুলোর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। শুনছেন মানুষের অভাব অভিযোগ। জনসভায় দাবি করলেন, ‘এখানকার নিখোঁজ সাংসদ (রাহুল গান্ধী) শুধু ভোটের সময় আসেন। বাকি সময় দেখা মেলে না। এবার স্মৃতি ইরানির সঙ্গে রাহুল গান্ধীর লড়াই হচ্ছে না। লড়াই হচ্ছে জনতার সঙ্গে এক নিখোঁজ সাংসদের।’