কোভিড অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণে নয়া কিট বাজারে আনল ডিআরডিও

কোভিড অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণে নয়া কিট বাজারে আনল ডিআরডিও

 
নয়াদিল্লি: এবার মাত্র ৭৫ মিনিটেই কোভিড-19 প্রতিরোধী অ্য়ান্টিবডির হদিশ পাওয়া যাবে৷ তাও মিলবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির সহায়তায়৷ এই ডিটেকশন কিটটির আবিষ্কর্তা ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও৷ শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷ কিটটির নাম দেওয়া হয়েছে ডিপকোভ্যান৷

কোভিড মোকাবিলায় সম্প্রতি ২ডিজি নামে একটি ওষুধ বাজারে এনেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। আর এবার তারা বাজারে নিয়ে এল কোভিডের অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের কিট। এই কিট ব্যবহার করে শরীরে করোনার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যাবে। এরই সঙ্গে হদিশ মিলবে নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিনেরও । অর্থাৎ বোঝা যাবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে কখনও করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছিল কি না বা তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে কি না। এই কিটটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ডিআরডিওর ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস ল্যাব ও দিল্লির ভ্যানগুয়ার্ড ডায়গনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই কিটের বাণিজ্যিকভাবে উদ্বোধন করবে ভ্যানগুয়ার্ড ডায়গনস্টিক। প্রাথমিকভাবে ১০০টি কিট পাওয়া যাবে। যার মাধ্যমে ১০ হাজার বার পরীক্ষা করা যেতে পারে। আর প্রত্যেকটি পরীক্ষায় খরচ পড়বে ৭৫ টাকা। পরে কোম্পানি মাসে ৫০০ করে এই কিট উৎপাদন করবে।

ডিআরডিওর শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, মাত্র ৭৫ মিনিটেই অ্যান্টিবডির সঠিকভাবে শনাক্ত করবে এই ডিপকোভান। এই কিটটি ১৮ মাস পর্যন্ত সংরক্ষিত করেও রাখা যাবে। দিল্লির বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে এক হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এই কিট ব্যবহার করে। এর আগে গত বছরই এই প্রোডাক্টের তিনটি ব্যাচ বৈধতা পেয়েছিল। তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই এই কিটটিকে অনুমোদন দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্স ৷ এরপর মে মাসে কিটটি ব্যবহারের অনুমতি মেলে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =