নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই একের পর এক ছত্রাকের সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ প্রথমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, তারপর হোয়াইট ফাঙ্গাস, এবার ইয়োলো ফাঙ্গাস৷ এই নয়া ফাঙ্গাসেরই এবার হদিশ মিলল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
একের পর এক ছত্রাকের দাপটে রীতিমতো ত্রস্ত দেশবাসী। যতদিন যাচ্ছে, এই ছত্রাক সংক্রমণের মাত্রা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদে এক ব্যক্তির শরীরে এই হলুদ ছত্রাকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন। ঠিক কতখানি বিপজ্জনক এই হলুদ ফাঙ্গাসটি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ চিকিৎসকদের দাবি, কালো ও সাদা ছত্রাকের চেয়েও মারাত্মক হলুদ বা ইয়োলো ফাঙ্গাস। এতেই চিন্তার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে চিকিৎসক মহলে৷ এই ছত্রাকে কেউ সংক্রমিত হলে, তাঁকে ওষুধ হিসেবে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ এমফোটেরিসিন বি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
হলুদ ছত্রাক হলে যেসব লক্ষণ দেখা যাবে সেগুলো হল- শারীরিকভাবে ক্লান্ত অনুভব করা, ওজন কমতে থাকবে ধীরে ধীরে, খিদে কমে যাবে অথবা একেবারেই পাবে না, ছত্রাকের শরীরে বেশি সংক্রমিত হলে পুঁজ বেরবে, কোনও ক্ষত থাকলে, তা দ্রুত সারবে না৷ হলুদ ছত্রাকের প্রভাবে শরীরে যেসব ক্ষতি হতে পারে তা হল এর প্রভাবে চোখ ধীরে ধীরে বুজে আসে, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে, শরীরের যে কোনও অঙ্গে ধীরে ধীরে পচন ধরে যেতে পারে, মূলত অপরিচ্ছন্ন ভাবে না থাকলেই এই ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধার সম্ভাবনা বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই সংক্রমণের অন্যতম কারণ বাসি খাবার খাওয়া। হলুদ ছত্রাকে মৃত্যুর হার তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে মত চিকিৎসকদের। শরীরের ভিতরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে এই ছত্রাক বেশি ক্ষতের সৃষ্টি করাই এর মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ তাই যে কোনও উপসর্গ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।