নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বিতর্কের চাপে নিজের ভুলটা স্বীকারই করে নিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব৷ অ্যালোপ্যাথি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রামদেব। শুধু তাই নয়, নিজের ওই মন্তব্য প্রত্যাহারও করে নিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি লেখার পাশাপাশি টুইটও করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যে ঝড় উঠেছিল। হুঁশিয়ারি এসেছিল দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসকদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও। এমনকী দুপাতার কড়া চিঠি লিখেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। শেষপর্যন্ত অবশ্য যোগগুরু বাবা রামদেব।
রামদেবের বক্তব্যের পরই গোটা দেশের মানুষ চিকিৎসকের পাশে দাঁড়িয়ে যোগগুরুর পালটা সমালোচনায় মুখর হয়। তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে থাকেন তাঁকে। এরপরই রবিবার রামদেবের মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দু’পাতার চিঠি লিখে তাঁকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। এরপরই রামদেব টুইটারে লেখেন, ‘মাননীয় হর্ষবর্ধন বাবু, আমি আপনার চিঠি পেয়েছি। আপনার অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে এবং বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা শেষ করতে আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।’ শুধু টুইটই না, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিও লেখেন তিনি। তাতে তিনি লেখেন, ‘আমরা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অ্যালোপ্যাথির অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে নই। অসংখ্য রোগীকে আমরা বিশ্বাস করি অস্ত্রোপচার এবং জীবনদায়ী নানান সরঞ্জাম ও ওষুধের মাধ্যমে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়ে নয়া দিশা দেখিয়েছে অ্যালোপ্যাথি। আমি ওই সময় একটি বৈঠকে হোয়াটসঅ্যাপের একটি মেসেজ পড়ছিলাম। কিন্তু সেই কারণে কেউ ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পেয়ে থাকলে, আমি দুঃখিত।’
রামদেবের টুইট ও চিঠির পরই তাঁর প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। পালটা টুইট করে হর্ষবর্ধন লেখেন, ‘মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে আসলে নিজের পরিণত মনস্কতারই পরিচয় দিয়েছেন রামদেব।’ এর পরেই অবশ্য রামদেব অন্য একটি টুইটকে রিটুইট বলেন, ‘যোগ ও আয়ুর্বেদই আমাদের পূর্ণ স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’