লকডাউনে ওষুধ কিনতে যাওয়ায় যুবককে চড় জেলাশাসকের

লকডাউনে ওষুধ কিনতে যাওয়ায় যুবককে চড় জেলাশাসকের

ছত্তিশগড়: লকডাউনে ওষুধ কিনতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ এক যুবককে সপাটে চড় মারার অভিযোগ উঠল জেলাশাসকের বিরুদ্ধে৷ সেই সঙ্গে তাঁর ফোনটিও রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। এখানেই শেষ নয়, সেখানে উপস্থিত পুলিশদের ছেলেটিকে মারতেও নির্দেশ দিলেন এবং ওই যুবকের নামে বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করে ক্ষান্ত হলেন। অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী রইল ছত্তীসগঢ়ের সুজারপুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়৷  ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলিও।

সূত্রের খবর, ওষুধ কিনতে বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন বছর ২৩ এর যুবক। এরপর ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় নজরদারির দায়িত্বে থাকা ওই যুবক জেলাশাসক রণবীর শর্মাকে কিছু কাগজ দেখাতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেদিকে নজর না দিয়ে তিনি এগিয়ে গিয়ে ওই ব্যক্তির থেকে ফোনটি নিয়ে সেটাকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেন। এরপরই সপাটে যুবকের গালে একটি চড় কষান। এমনকি তিনি পুলিশকর্মীদেরও ওই যুবককে মারধর করার নির্দেশ দেন। পুলিশকর্মীদেরও ওই যুবকের ওপর চড়াও হতে দেখা যায়৷ যিনি ভিডিওটি তুলছিলেন, তাঁকেও জেলাশাসক রণবীর শর্মা বকাবকি করেন৷

জেলাশাসক অবশ্য সাফাই দিয়ে বলেছেন, ‘ট্রাফিক নিয়ম না মেনেই ওই যুবক দ্রুত গতিতে বাইক নিয়ে ছুটছিলেন। তাঁকে থামাতে বলার পরও তিনি বাইক থামাননি৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি সাহিল গুপ্তা অবশ্য দাবি করেছেন তিনি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। জেলাশাসক আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আমি কোথায় যাচ্ছি। আমি বলার পরও কিন্তু উনি আমাকে মারতে শুরু করলেন। সেই সঙ্গে বাকিদেরও নির্দেশ দিলেন আমাকে মারার জন্য।’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সকলে। শনিবারই অবশ্য অবস্থা বেগতিক বুঝে ক্ষমা চেয়েছেন জেলাশাসক৷  এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, ‘একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের সময় রাস্তায় বেরনোশর জন্য আমি এক যুবককে চড় মারছি। আমি সেজন্য ক্ষমা চাইছি। ওঁকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আসলে এখানে খুব কঠোরভাবে করোনাকে রোখার চেষ্টা চলছে। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছিলাম। সেরে গিয়েছি। কিন্তু আমার মা এখনও চিকিৎসাধীন।’

গৃহমন্ত্রকের আধিকারিক সঞ্জীব গুপ্ত টুইটারে লেখেন, ‘আইএএস অফিসারের এহেন আচরণ সত্যিই ঘৃণ্য। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। আমি ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে নোটিস পাঠিয়েছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *