নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ইনিংসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে তরুণ প্রজন্মই বেশি আক্রান্ত প্রবীণদের তুলনায়৷ বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পয়লা মের পরে দেশে যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের ২৬ শতাংশ কোভিড ১৯ পজিটিভ৷ এরপরই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা।
পয়লা মে থেকে ৭ মে অর্থাৎ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২৬.৫৮ শতাংশই তরুণ। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংখ্যাটা খানিকটা কমে দাঁড়ায় ২৫.৮৯ শতাংশ। ১৫-২১ মে অর্থাৎ মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ নবীনদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল দেশের মোট আক্রান্তের ২৫.৬৪ শতাংশ। আর শেষ তিন দিন অর্থাৎ ২২ থেকে ২৫ পর্যন্ত ২৫.৬০ শতাংশ তরুণ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এরপরই, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা। পয়লা মে থেকে ৭ মে অর্থাৎ চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বয়সের প্রায় ২৩.১২ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷ দ্বিতীয় সপ্তাহে তা দাঁড়ায় ২২.৭৯ শতাংশ। তৃতীয় সপ্তাহে এই বয়সিদের মধ্যে আক্রান্তের হার ছিল ২২.৫৮ শতাংশ। ২২ মে থেকে ২৪ মে এই তিন দিনে তা দাঁড়িয়েছে মোট আত্রান্তের ২২.২৪ শতাংশ।
শিশু এবং নাবালকরা দ্রুত গতিতে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে শিশু এবং নাবালকদের হার ছিল প্রায় ৭.৮২ শতাংশ। ২২ থেকে ২৪ মে আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। এদের মধ্যে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের নাবালকরা বেশি প্রভাবিত হয়েছে। চলতি মাসে এদের আক্রান্তের হার রয়েছে প্রায় ৫ শতাংশের মতো। অথচ টিকার আকালের জন্য দেশের বেশিরভাগ জায়গায় এই বয়সের মানুষদের টিকাকরণ এখনও শুরুই হয়নি।