কোটা: অ্যাম্বুল্যান্সের মোটা টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় নিজেই গাড়ি চালিয়ে করোনায় মৃত মেয়ের দেহ নিয়ে শ্মশানে পৌঁছলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটা শহরে৷
গাড়ির সামনের সিটে পলিথিনে জড়ানো করোনায় মৃত মেয়ের দেহ সিট বেল্ট দিয়ে বাঁধা৷ চালকের আসনে বসে কাঁদতে কাঁদতে ৮৫ কিমি রাস্তা গাড়ি চালিয়ে শ্মশানে নিয়ে গেলেন অসহায় বাবা। তাঁদের বাড়ি থেকে শ্মশানের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার৷ ওই রাস্তা যেতে অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া কোনও গতিই নেই। কিন্তু তরুণীর বাবার দাবি, ৩৫ হাজার টাকা দাবি করে অ্যাম্বুল্যান্স চালক। যদিও ওই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য নেই তরুণীর বাবার৷ শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে নিজেই গাড়ি চালিয়ে মেয়েকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সদ্য সন্তানহারা শোকাতুর বাবা৷ এই নির্দয় ছবি ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কোটার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর উজ্জ্বল রাঠোর জানান, তিনি এই ঘটনার তদন্ত করছেন৷ তিনি ওই তরুণীর বাবার কাছে আবেদন করেছেন যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁর কাছ থেকে এত বেশি টাকা চেয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত বর্ণনা দিতে৷
উল্লেখ্য, দিনকয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা সীমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ওই তরুণী। তাঁকে গত ২৪ এপ্রিল কোটার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বাঁচানো যায়নি তরুণীকে৷ ঝালাওয়ারের শ্মশানে মেয়ের দেহ সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেন বাবা৷ কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ভাড়া শুনে মাথায় হাত পড়ে যায় তরুণীর বাবার৷ হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করোনার পর আর তাঁর কাছে অত টাকা ছিল না৷ তবে মেয়ের সৎকার হবে না, তা তো হতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে নিজেই গাড়ির চালকের আসনে বসে, পাশের আসনে মেয়ের দে একটি পলিথিনে মুড়ে সিট বেল্ট দিয়ে বেঁধে দেন৷ শেষ পর্যন্ত শ্মশানেও পৌঁছন।