আমেদাবাদ: এবার এক শিশুর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হদিশ মিলল। এই প্রথম এত ছোট শিশুর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল৷ আক্রান্ত ওই শিশু রাজস্থানের বিকানেরের বাসিন্দা। এই শিশুটির বয়স মাত্র ১৮ মাস৷ তাকে বিকানেরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এই শিশুটির লিইকোমিয়া অর্থাৎ ক্যানসারে রয়েছে৷ ফলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম৷ সেজন্য চিকিৎসকরা আরও বিশেষ গুরুত্ব সহকারে শিশুটির চিকিৎসা করছেন৷
সম্প্রতি গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা পনেরো বছরের এক কিশোরের শরীরেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অস্তিত্ব মেলে৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গুজরাটেই এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এই রাজ্যে কালো ছত্রাকে আক্রান্ত ২ হাজার ৮৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭০ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭৫২ জন এই মারণ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনও রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে ওই রাজ্যে ওষুধ বেশি মাত্রায় সরবরাহ করা হবে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গুজরাটে সবচেয়ে বেশি ওষুধ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ৭ হাজার ২১০টি ডোজ পেয়ে পয়লা নম্বরে রয়েছে গুজরাট। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। ৬ হাজার ৯৮০টি ডোজ পাঠানো হয়েছে শিবসেনা সরকারকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে প্রয়োজন মতো ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷ রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের ছাড়া সহ ১১টি রাজ্য এই রোগকে মহামারি ঘোষণা করেছে৷ এই ধরনের রোগীর কথা জানলেই রোগীর নাম সরকারিভাবে নথিভুক্ত করতে হবে। যদিও কেন্দ্রের হিসেবে বাংলায় এখনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কোনও সক্রিয় রোগী নেই। তাই বঙ্গে আলাদা করে এই রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ওষুধের ডোজও দেওয়া হচ্ছে না।