ওড়িশা: ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গেলও কোভিড আক্রান্ত রাজ্যগুলিকে এখনও অক্সিজেন সরবরাহ করে যাচ্ছে ওড়িশা। এই এতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় লাল সতর্কতা জারি হলেও যশ মূলত তাণ্ডব চালিয়েছে ওড়িশা উপকূলেই। তাই ঝড়ের আগাম প্রস্ততি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কোভিড আক্রান্ত রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন সরবরাহ করা থেকেও পিছিয়ে যায়নি নবীন পট্টনায়েক সরকার।
বুধবার ওড়িশা থেকে চারটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে৷ ওড়িশার আঙ্গুল থেকে ট্যাঙ্কারগুলি হায়দরাবাদ এবং বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশে পাঠানো হয়৷ পুলিশের নিখুঁত নজরদারিতে জয়পুর থেকে অক্সিজেনের কনসাইনমেন্ট আসে বেরহামপুর এবং ভুবনেশ্বরে৷ পুলিশের এডিজি যশবন্ত কুমার জেঠওয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলিকে একজোট করার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ ওড়িশার হাসপাতালে মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহও নিশ্চিত করেছিল। তিনি এও জানান যে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গাছ ও ইলেকট্রিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে সমস্যা হলেও ওড়িশার দুর্যোগ মোকাবিলা ফোর্স যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় রাস্তা পরিষ্কার করে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করেছে।
তিনি আরও জানান, অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র, ট্যাংকার, চালক এবং অন্যান্য কর্মীদের নিরাপদ রাখা, অক্সিজেনের সরবরাহ সহজতর করার লক্ষ্যে উন্নত ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ এই মুহুর্তে কোভিড আক্রান্ত একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা বিশাল। যশের লাল সতর্কতা সত্ত্বেও এরই মধ্যে নজিরবিহীনভাবে রাজ্যগুলিতে জীবনদায়ী গ্যাস পাঠিয়ে চলেছে ওড়িশা। গত ৩৪ দিনে ওড়িশা পুলিশ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকা রাজ্যে ২২ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করেছে৷ গত ১২ ঘণ্টায় খুব দ্রুত মোট ২৩৬ অক্সিজেন এক্সপ্রেস পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড দিয়ে পাঠানো হয়েছে৷ এর মধ্যে আটটি এই রাজ্য দিয়ে গিয়েছে৷
উল্লেখ্য, যশ সকাল ন’টা নাগাদ ধারমা এবং বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে৷ প্রতি ঘণ্টায় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ১২ থেক ১৪০ কিলোমিটার৷ এই প্রথম ওড়িশা দেখল রেকর্ড বৃষ্টি এবং সমুদ্রের ঢেউ৷ যার উচ্চতা ছিল ২ থেক ৪ মিটার৷