শেষকৃত্যের পর ফিরে এলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি!

শেষকৃত্যের পর ফিরে এলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি!

রাজস্থান: এক ব্যক্তির শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সকলকে অবাক করে ফিরে এলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি৷ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের রাজসামান্দ এলাকায়।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির মৃতদেহ নিজেদের মনে করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় একটি পরিবার। সব রীতি মেনে ১৫ মে দেহটির শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর ২৩ মে ওই ব্যক্তিই এসে হাজির হন৷ ৪০ বছর বয়স ওমকার লাল গদুলিয়াকে জীবিত দেখে অবাক হয়ে যান পরিবারের লোকজন৷ রাজস্থানের রাজসামান্দে আর কে সরকারি হাসপাতালে মৃত এক ব্যক্তির দেহ নিয়ে এই গোল বেঁধেছে৷  

ওমকার বলে যে মৃতদেহটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল, সেটি ছিল আসলে গোবর্ধন প্রজাপত নামে অন্য এক ব্যক্তির। দু’জনেই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গদুলিয়া মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। গত ১১ মে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উদয়পুর চলে যান। সেসময় করোনাযর জন্য লকডাউন চলায় তাঁর পরিবার তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে ছিল পরে লিভারজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হন। একইদিন গোবর্ধন প্রজাপত নামে অন্য এক ব্যক্তিও ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যদিও তাঁর দেহ অশনাক্তই ছিল৷ ১৫ মে এক ডজন লোক এসে দেহ শনাক্ত করেন৷  কোনও রকম পোস্ট মর্টেম বা ডিএনএ টেস্ট ছাড়াই তাঁদের দেহ হস্তান্তর করা হয়, শুধুমাত্র একটি লিখিত চিঠির ভিত্তিতে৷

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক যোগেন্দ্র ভায়াস বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি দিয়ে জানায় মর্গে তিন দিন ধরে অজ্ঞাত পরিচয় একজনের দেহ পড়ে রয়েছে। তখন তারা ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে তাঁর ছবি দিয়ে নানা জায়গায় দেন। পরে ওমকারের পরিবারেরর লোকজন এসে হাতে দাগ দেখে ভুল করে গোবর্ধনকেই গদুলিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে পুলিশি তত্ত্ববধানেই সত্য উদঘাটন হয়৷ জানা যায়, দাহ করা দেহটি হচ্ছে গোবর্ধনের। পুলিশ কর্মকর্তা ভায়াস বলেন, এখানে পুলিশের কোনও ভুল নেই। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহটি অজ্ঞাতপরিচয় বলে মর্গে রেখে দিয়েছিল।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 4 =