ভোপাল: বিয়ে নিয়ে নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি মধ্যপ্রদেশে৷ চলতি মাসে করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন গোপনে বিয়ে করলে আইনি স্বীকৃতি মিলবে না বলেই জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মে মাসে লুকিয়ে ১৩০টি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে৷ এই খবর পাওয়ার পরই আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসে লকডাউনের মধ্যেই যাঁরা প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে গোপনে বিবাহ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের কারও বিয়েই আইনি স্বীকৃতি পাবে না৷ কারণ তাঁদের কোনও ম্যারেজ রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। এমনকি তাঁদের বিয়েকে বেআইনি বলেও ঘোষণা করা হবে। শুধু তাই নয়, কোনও সরকারি আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করে রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট ইস্যু করলে, তাঁর বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷
মধ্যপ্রদেশে বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর অনেকেই প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে গিয়ে তা সম্পন্ন করছে৷ কারণ বিয়ে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারের নির্দেশিকা উত্তরপ্রদেশে লাগু হবে না৷ এছাড়াও বর্তমানে বিয়ের গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে তামিলনাড়ু এবং কেরলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতু। ওই দুই রাজ্যের সংযোগস্থলে চিন্নার নদীর ওপর যে লম্বা সেতু রয়েছে, সেটিই এখন নয়া ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। করোনাকালে লকডাউনের মধ্যে এই সেতুর ওপরেই এখনও পর্যন্ত ১১টি বিবাহ হয়েছে। গত সোমবার এই সেতুতেই কেরলের মারায়ুর ইদুক্কির উন্নিকৃষ্ণান বিয়ে করেন তামিলনাড়ুর বাটলাগুন্ডুর থানগামায়িলকে। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের হাত থেকে রেহাই পেতেই তাঁরা ওই সেতুর ওপর বিয়ে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। অন্য রাজ্য থেকে কেরলে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের কোভিড নেগেটিভ রির্পোট থাকা বাধ্যতামূলক। পাত্রী অবশ্য কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়েই ওই সেতুতে প্রবেশ করেন। উল্টোদিক থেকে পাত্রও এগিয়ে আসেন। যদিও কোনও পুরোহিতের অনুপস্থিতিতেই চার হাত এক হয়৷ দুই রাজ্যের পুলিস ও প্রশাসনিক কর্তাদের নজরদারিতে ওই সেতুর ওপর বিবাহ সুসম্পন্ন হয়।