বহরমপুর: ভোট লুটের খবর পেয়ে ফের নিজের দাপট দেখালেন অধীর চৌধুরী৷ আজ, সকালে বহরমপুরে কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে যান অধীর৷ বুথে ঢুকে ধমক দিয়ে নতুন করে এজেন্টদের বসানোর ব্যবস্থা করেন৷ কিন্তু, অধীর বুথ ছাড়তেই ফের উত্তেজনা ছড়ায় বিটি কলেজ চত্বরে৷
ভোট শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় বুথের মধ্যে অবাধে চলে ছাপ্পা৷ অভিযোগ পেয়ে ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কংগ্রেস পার্থী অধীর চৌধুরী৷ এরপরই ভোটারদের বাধা দেওয়ার এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, বহরমপুরে অধিকাংশ বুথেই নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ভোট শুরু হতেই না হতেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জটলা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেয়ে ভোট শুরুই করতেই দিলেন না বর্ধমান-দুর্গাপুরের জোমুয়ার ঘটনা৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেয়ে বুথের বাইরে প্রতিবাদ ভোটকর্মীর৷ কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ঘটনা৷
জোমুয়া হাইস্কুল চত্বরের ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছিল৷ এবারের নির্বাচনে সেই স্মৃতি যাতে না ফেরে, সেই দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা৷ ভোটারদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট করাতে দেবেন না তাঁরা৷ রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের কোনও ভরসা নেই বলেও এদিন প্রকাশ্যে দাবি জানান ভোটারদের একাংশ৷ স্থানীয়দের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ এলাকায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিশাল জমায়েত করেছেন তৃণমূল সমর্থকরাও৷ পরিস্থিতি কার্যত অগ্নিঘর্ভ হয়ে উঠেছে৷ শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এখনও ওই বুথে ভোট শুরু করা যায়নি৷
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোটের কাজ বয়কট করলেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷ বুথের বাইরে বেরিয়ে ভোটকর্মীদের প্রতিবাদ৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় এসে ভোট কর্মীরা দেখেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়নি কমিশন। তারপরই তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশনকে ই-মেল করেন ভোট কর্মীরা৷ আজ সকালে বুথে বাহিনী না আসায় প্রতিবাদ জানান ভোটকর্মীদের একাংশ৷ রবিবার ভোটকর্মীদের তরফে ইমেলে দাবি করেন, রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও আস্থা নেই তাঁদের। ভোট করাতে নিরাপদ মনে করছেন না তাঁরা। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় দফা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির কথা শুনে যথেষ্ট ভীত ও শঙ্কিত তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোট করাবেন না বরং ভোট বয়কটেরও দাবি তোলেন তাঁরা। রবিবার রাতে ভোটকর্মীদের তরফে এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর আজ সকালে ভোটের কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে দেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷