প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাস গুলিয়ে গেলে তা দুঃখজনক! দিল্লি সংঘর্ষ ইস্যুতে মত আদালতের

প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাস গুলিয়ে গেলে তা দুঃখজনক! দিল্লি সংঘর্ষ ইস্যুতে মত আদালতের

নয়াদিল্লি: প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদ গুলিয়ে যাচ্ছে। যদি এমনটা হয় তাহলে সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে একেবারেই ভালো লক্ষণ নয়, বরং যথেষ্ট উদ্বেগজনক এবং ভয়ঙ্কর ব্যাপার। দিল্লি সংঘর্ষের ইস্যুতে এমনই মত প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট। আজ এই মামলার শুনানিতে সংঘর্ষে অভিযুক্ত তিন জনকে জামিন দিয়েছে আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করা হয়েছে, কোনটা প্রতিবাদের অধিকার এবং কোনটা জঙ্গি কার্যকলাপ সেটা আলাদা করে বিচার করতে হবে। সরকারকে বুঝতে হবে দুটোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। যদি এমনটা না হয় তাহলে গণতন্ত্রের পক্ষে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে আদালত। 

এই মামলার শুনানিতে আজ দিল্লির সংঘর্ষে অভিযুক্ত হিসেবে বন্দী হয়েছিলেন ছাত্র সংগঠনের কর্মী দেবাঙ্গনা কলিতা, আসিফ ইকবাল তানহা এবং নাতাশা নারওয়াল। ইউএপিএ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আজ তাদের জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি সংঘর্ষের পরে মে মাসে দিল্লি পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করা থেকে শুরু করে বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া এবং ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল। সেই প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করার পর গত সেপ্টেম্বর মাসে এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেখানে ১৭ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিটে ১৫ জনের নাম ছিল যারা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন।

 

আজ এই মামলার শুনানিতে পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, চার্জশিটে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে দাঙ্গার সরাসরি সম্পর্ক ছিল। দাঙ্গা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। যে দুটি জায়গায় দাঙ্গা করার জন্য গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল সেখানে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, কলিতা এবং নারওয়াল ‘পিঁজরা তোড়’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 15 =