গাজিয়াবাদ: ফের কাঠগড়ায় যোগীরাজ্য৷ এবার ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান না দেওয়ায় গাজিয়াবাদে এক মুসলিম বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এখানেই শেষ নয়, তাঁর দাড়িও কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদ পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ জুন গাজিয়াবাদের লোনি এলাকার বাসিন্দা আবদুল সামাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন৷ সেসময় কয়েকজন যুবক তাঁকে কিডন্যাপ করে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ, সেখানেই নিয়ে গিয়ে আবদুলকে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্ত যুবকরা। জয় শ্রী রাম এবং বন্দে মাতারম বলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। আবদুল তাঁদের কথা শুনতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে লাঠি পেটা করা হয় বলেও অভিযোগ৷
আবদুল আরও অভিযোগ করেন, লাল টিশার্ট পরা এক যুবক তাঁর গলায় ছুড়ি রেখে হুমকি দেন এবং ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করেন। তিনি ওই স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর দাড়ি কেটে ফেলা হয়। এমনকি পাকিস্তানের চর বলেও তাঁকে কটাক্ষ করেন ওই যুবকরা। আতঙ্কিত আবদুল তাঁর অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন, অটোয় করে মসজিদে যাচ্ছিলাম। সেই অটোতে আরও দু’জন যুবক ওঠেন। তাঁরা আমাকে জোর করে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে আমাকে মারধর করে জোর করে জয় শ্রী রাম স্লোগান বলতে বাধ্য করা হয় এবং স্লোগান দিতে অস্বীকার করায় আমার দাড়ি কেটে নেন। তারা এর আগেও নাকি একাধিক মুসলিমকে মারধর করেছেন বলে আমাকে জানান। খুন করতেও তাঁদের হাত কাঁপে না৷
এই ঘটনায় গাজিয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরবেশ গুজ্জর বলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।