গুয়াহাটি: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অসমে লাগু হয়ে গেল দুই সন্তান নীতি৷ দেশজুড়ে প্রথম রাজ্য, যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এত বড় এবং সাহসী পদক্ষেপ করল অসম। রাজ্যে আংশিকভাবে দুই সন্তান নীতি প্রকল্প চালু করছে সরকার এবং ধীরে ধীরে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে গেলে দুই সন্তান নীতি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হবে। এই প্রকল্পের যাবতীয় খরচ রাজ্যের তহবিল থেকেই করা হবে৷ শনিবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই বিল পাশ হয়েছিল। সেই ২০১৯ সালেই সর্বানন্দ সোনওয়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্য সরকার আইনটি পাশ করেছিল। বিলে উল্লেখ ছিল, ২০২১ সালের পর সরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পেতে গেলে দম্পতিদের দুইয়ের বেশি সন্তান থাকতে পারবে না৷ শুধু তাই নয়, এখন যাঁরা সরকারি ক্ষেত্রে চাকুরিরত, তাদেরও যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা না হলে তাঁদেরও চাকরির ক্ষেত্রেও টান পড়তে পারে৷ যখন এই বিলটি পাশ হয়েছিল তখন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেই সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। এখন মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতেই সেই দুই সন্তান নীতি আইন রাজ্যে আরও ব্যাপকভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিমন্ত। তিনি অভিবাসী মুসলিমদের নিয়ে মূলত কাজ করতে ইচ্ছুক।
শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে অথবা সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেতে, জনসংখ্যাজনিত নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তফসিলি জাতি, উপজাতি বা চা বাগানের কর্মীদের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি লাগু না হলেও, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে তাদেরও দুই সন্তান নীতি মেনে চলতে হবে৷’ অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তত্ত্ববধানে শুরু করছি না৷ বরং এটি কার্যকরী করা হবে অরুণোদ্বয় এবং মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে৷ ধীরে ধীরে বাকি সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এই দুই সন্তান নীতি চালু করা হবে৷’