নয়াদিল্লি: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের নকল ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগে দিল্লিতে ২ চিকিৎসক সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে লাইপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইনজেকশন এবং প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ভায়াল নকল ইনজেকশন মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জুন দিল্লি সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ দফতরে নকল ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ৷ অভিযুক্তরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ইনজেকশন নকল করে তৈরি, মজুত ও বাজারে ছাড়ছে বলে অভিযোগ৷ এই অভিযোগে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ এঁদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসকও রয়েছেন। দিল্লি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া এক চিকিৎসকের নাম আলতামাস হুসেন। এই চিকিৎসকের দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির নিজামুদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজার ২৯৩ ভায়াল নকল ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি মনিকা ভরদ্বাজ বলেন, উদ্ধার হওয়া নকল ইনজেকশনের বেশির ভাগই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় অভিযুক্তরা ব্যবহার করতেন। এর মধ্যে বেশ কিছু রেমডিসিভির ইনজেকশনের ভায়ালও মিলেছে। কিছু ভায়াল আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল৷ নকল ইনজেকশন বিক্রি চক্রের ১০ জনকে আটক করা হয়েছে৷ তবে ইতিমধ্যেই এই নকল ইনজেকশন চক্রের সদস্যরা চারশোরও বেশি ভায়াল বাজারে বিক্রি করে ফেলেছে। বাজারে এই নকল ইনজেকশনই এক একটি ২৫০ টাকায় বিকোচ্ছে। তবে বর্তমানে এর চাহিদা বাড়ায় কালোবাজারে এক একটি নকল ইনজেকশন ১২, ০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ। এটি পরিবেশে সব সময়ই বিদ্যমান। এমনকি মানুষের শরীরেও উপস্থিত। মিউকর নামের এক ধরনের ছত্রাক থেকে এই রোগ হয়। সাধারণত আর্দ্র ও উষ্ণ আবহাওয়ায় বংশবিস্তার করা এই ছত্রাক মাটি, গাছপালা, সার, পচনশীল ফল ও সবজিতেও মেলে৷ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস জানিয়েছে, মিউকরমাইকোসিস মুখের বিভিন্ন অংশ যেমন-নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷