বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাভির মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ মামলা মালিকের

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাভির মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ মামলা মালিকের

খামান: গরুকে গোমাতা বলে পুজো করা দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দুদের একটা রীতি। তা বলে গাভি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ নিগমের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার ঘটনা এর আগে কখনও সংবাদমাধ্যমে খবর হয়নি৷ তবে সম্প্রতি এমনটাই ঘটল তেলঙ্গানার খামান জেলায়৷

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাভির মৃত্যু দীর্ঘ দিন ধরেই সকলের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু তা মানতে নারাজ তেলঙ্গানার খামান জেলার চিন্তাকনি মণ্ডলের রেপালি ওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা মদিপলি পেডা ভেঙ্কটেশ্বরলু। পেশায় চাষি ভেঙ্কটেশ্বরলুর গাভির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করেন কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনের কাছে। সেই মামলায় জয়ও পেয়েছেন তিনি৷ কমিশন তেলঙ্গানা স্টেট নর্দার্ন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভেঙ্কটেশ্বরলুকে ৯০,০০০ টাকা তুলে দিতে হবে৷ 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দিনকয়েক আগে বাড়ি থেকে খানিক দূরে ভেঙ্কটেশ্বরলু তাঁর তিনটি গাভী এবং পাঁচটি মহিষ নিয়ে মাঠে চরাতে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর একটি গাভি মারা যায়৷ প্রথমে এই ঘটনায় তেলঙ্গানা স্টেট নর্দার্ন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছে ক্ষতিপূরণ চান রেননি ভেঙ্কটেশ্বরলু। তিনি নিগমকে চিঠি দিয়ে ঘটনা সম্বন্ধে অগত করে ওই মাঠের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বলেছিলেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও গবাদি পশু বা মানুষের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু না হয়৷ কিন্তু বিদ্যুৎ নিগম তাঁর আবেদনে কর্ণপাত না করায় তিনি কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন প্রথমে নিজেদের দায় অস্বীকার করে বিদ্যুৎ নিগম জানিয়েছিল, গাভিটি মালিকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই মারা গিয়েছে৷ তিনি ওই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না৷ কিন্তু নিজেদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় মামলা বিদ্যুৎ নিগমের বিরুদ্ধে যায়৷ কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাস্তার ধারে বা মাঠে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকলে, ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুতের খুঁটি আলগা হয়ে গেলে, নিগমকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে৷ এই দুর্ঘটনা থেকেই প্রমাণিত যে নিগম নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না৷

ভেঙ্কটেশ্বরলু জানিয়েছেন, তাঁর মৃত গাভিটির দাম ছিল ৫০,০০০ টাকা। সে প্রতিদিন ৮ লিটার দুধ দিত, যা বিক্রি করে দিনে ৩২০ টাকা উপার্জন করতেন তিনি৷ এইসব বিষয় হিসেব করে পাশাপাশি গাভির দাম এবং জরিমানা ধরে কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন তেলঙ্গানা স্টেট নর্দার্ন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দ্রুত ভেঙ্কটেশ্বরলুর হাতে ৯০,০০০ টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ ঘটনায় অবশ্য 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =