মহাবালেশ্বর: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে দেশবাসী। এর মধ্যে আরও এক মারণ ভাইরাস হানা দিল দেশে। নিপা ভাইরাস, যার উৎস বাদুড়ের শরীর। মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মহাবালেশ্বর গুহায় দু’টি বাদুড় ধরা পড়ে, যাদের শরীরে নিপা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। পুনের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’-র এক গবেষণায় সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মহাবালেশ্বরের একটি গুহা থেকে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষকরা দু’টি প্রজাতির বাদুড় ধরেন। তাদের রক্ত এবং গলা থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি গবেষণা করে দু’টি বাদুড়ের শরীরে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে৷ এই গবেষণা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা ‘জার্নাল অফ ইনফেকশন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্য গবেষক ড. প্রজ্ঞা যাদব এক প্রথম সারির দৈনিকের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই প্রথম মহারাষ্ট্রে নিপা ভাইরাসের হদিশ মিলল৷ এর আগে কখনও মহারাষ্ট্রে নিপা ভাইরাসে সংক্রামিত বাদুড় দেখা যায়নি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার এক থেকে দুই শতাংশ৷ কিন্তু নিপা ভাইরাসে সংক্রমণের হার ৬৫ থেকে ১০০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরিখে সব থেকে মারাত্মক মহামারি তৈরি করা ভাইরাসগুলির তালিকা প্রথম দশে আছে এই নিপা৷ এখনও কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় একে আরও মারাত্মক বলা হয়৷ ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় এর হদিশ পাওয়া যায়৷ গত ২০ বছরে ভারতে চারবার নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে৷ ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে নিপা ভাইরাসের হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর তালিকায় ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের নামও ছিল। ফের ভারতের এক রাজ্যে নিপা ভাইরাসের সন্ধান মেলায় নতুন করে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে৷