জামালপুর: পাত্রের চোখে বেশি পাওয়ারের চশমা দেখে বিয়ে ভেস্তে গেল। বিয়েটা ভাঙলেন স্বয়ং হবু স্ত্রীই। বিয়ে ভেঙেই ক্ষান্ত হলেন না পাত্র এবং পাত্রপক্ষের নামে থানায় প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জামালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাত্রীর নাম অর্চনা ও পাত্রের নাম শিবম। শিক্ষিত, চাকরিরত ছেলেকে একবারেই পছন্দ হয় অর্চনার বাবা মায়ের। পাকা দেখার এক মাসের মধ্যেই বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক হয়ে যায়৷ আর এরপর থেকেই রীতি মেনে সগুন, সঙ্গীত সব অনুষ্ঠানও পালিত হয়৷ তারপর বিয়ের দিনটি এসে যায়৷ বর সহ পাত্রপক্ষের বাড়ির আত্মীয় পরিজন আসেন পাত্রীপক্ষের বাড়িতে৷ কনেও নববধূর সাজে বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে পাত্রের বেশি পাওয়ারের চশমায়!৷ শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভেস্তে যায়। বিয়েটা ভাঙেন স্বয়ং পাত্রীই৷
পাত্রটি বিয়ের দিনই প্রথম এই মোটা পাওয়ারের চশমা পরে আসেন এবং সারাক্ষণ তাঁর চোখে ওই চশমা পরেই থাকেন তিনি। একবারের জন্যও চশমা খোলেননি তিনি৷ এটা দেখেই কনের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়৷ কারণ পাকা দেখা থেকে শুরু করে বাকি সব অনুষ্ঠানে হবু বর চোখে মোটা পাওয়ারের চোখে চশমা পরে আসেননি। এবার কনে নিজের সন্দেহ মেটাতে হবু বরের চোখে থেকে চশমা খুলে নিয়ে তাঁকে একটি খবরের কাগজ এনে পড়তে দিলেন৷ তখনই সত্যটা সামনে এল৷ পাত্র জানান, তিনি চশমা ছাড়া চোখে কিছুই দেখতে পান না। আগের অনুষ্ঠানগুলিতে তিনি লেন্স পরে এসেছিলেন। ব্যস সত্যিটা জানতেই ভেস্তে গেল বিয়ে। কনে জানিয়ে দেন, চশমা ছাড়া চোখে দেখে না, এমন ছেলেকে বিয়ে করতে নারাজ তিনি৷
বিয়েতে দামি আসবাবপত্রের সঙ্গে বাইকও দেন কনের বাবা। কিন্তু মেয়ে চশমা পরা ছেলেকে বিয়ে করতে বেঁকে বসায় অগত্যা বিয়ে ভেঙে যায়। তবে এখানেই হয়নি ঘটনা৷ চশমা ছাড়া চোখে না দেখার কথা লুকিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই যুবক ও তাঁর পরিবার৷ এহেন অভিযোগ এনে পাত্র এবং পাত্রপক্ষের নামে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়৷ জানানো হয়। অবশেষে বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে থানায় দৌড়াদৌড়ি করতে হল পাত্র এবং তাঁর পরিবারকে৷