আজ বিকেল: অধীর চৌধুরি জিতে যান এটাই কাম্য তাই ছেলের মরদেহ মর্গে পাঠিয়েই ভোট দিতে গেলেন মা। সোমবার চতুর্থ দফার ভোটে গণতন্ত্রের উদ্দাম নৃত্য দেখেছে দক্ষিণবঙ্গের একাংশ। মুর্শিদাবাদে সেই অশান্তির আঁচ ভালরকমই পড়েছিল। গোটা দিন বুথগুলিতে নিজেদের এজেন্ট বসাতে ও ছাপ্পা রুখতে ছুটে বেরিয়েছেন অধীরবাবু। তাই মাঝদিয়ার বাসিন্দা রেণুকা মার্ডি ছেলে হারিয়েও যে ভোট দিতে এসেছেন, এই ঘটনায় আপ্লুত কংগ্রেস প্রার্থী এদিন সন্তান হারা মার্ডি দম্পতির সঙ্গে দেখা করলেন।
সোমবার শ্রীগুরু পাঠশালা হাইস্কুলের বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন মাঝদিয়ার বাসিন্দা রেনুকা মার্ডি। গিয়ে দেখেন মস্ত লাইন। তাই ফিরে যান ঘরে। আর গিয়েই দেখতে পান ছেলে রজত মার্ডির দেহ ঝুলছে ঘরের কড়িকাঠ থেকে। রেনুকার চিৎকারে ছুটে আসেন পড়শিরা। তাঁরাই তড়িঘড়ি তাকে নামিয়ে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা রজতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলের দেহ মর্গে রেখে ফের বুথে ফেরেন মা। বলছিলেন, “ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। আমার একটা ভোটের জন্য যদি দাদা হেরে যান তাই ভোটটা দিয়ে গেলাম।”
সন্তানশোক ভাগ করে নিয়ে অধীর বললেন, “সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আমি বুঝি। আমার নিজেরই ভাবতে অবাক লাগছে, যে মহিলার সন্তান আত্মহত্যা করেছে সেই মহিলা মৃত সন্তানকে ফেলে রেখে আমার মতো জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়েছেন। পৃথিবীতে এমন কোনও জনপ্রতিনিধি আছে কিনা আমার জানা নেই, যিনি এমন বিরল সম্মান পেয়েছেন। এই পরিবারের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”