নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের ইতিমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে তিন ধরনের ভ্যাকসিন। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং অল্প ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি। এবার চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ভ্যাকসিন আসতে চলেছে ভারতে। এই ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি পেল সিপলা সংস্থা। জরুরী ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই টিকা ভারতে আসলেও সবাই এখনই এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন না। নীতি আয়োগ স্বাস্থ্য বিষয়ক শাখার সদস্য ভিকে পাল জানিয়েছেন, ভারতে এই টিকার আমদানি হলেও শুধুমাত্র জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ হবে। তবে তিন ধরনের টিকার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভ্যাকসিন আসার ফলে ভারতের ভ্যাকসিন সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার জন্য বেশিরভাগ মানুষ এই টিকা পাবেন না এখনই। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভ্যাকসিন গত বছর নভেম্বরে নিজেদের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এনে দাবি করেছিল তারা ৯৪.১ শতাংশ কার্যকরী। পরবর্তী ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে ইউরোপীয় এজেন্সিও এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- বন্ধ ঘরে হাউ হাই করে কাঁদছি, এবার আমায় মুক্তি দাও, আর্জি কাঞ্চনে
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। সেপ্টেম্বর মাসে শিশুদের জন্য তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপর শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তবে শুধু ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন আসছে না। এইমস প্রধানের কথায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফাইজার এবং বায়এনটেক-ও শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করছে যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ আগেই, ২-১৮ বছর বয়সিদেরও যাতে এই টিকা দেওয়া যায়, তার জন্য ২-৩ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র ভারত বায়োটেককে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল।