ভারকালা: বঞ্চনা থেকেই কি সাফল্য ছিনিয়ে আনলেন কেরলের মেয়ে অ্যানি শিবা? ১৮ বছর বয়সে সন্তান কোলে স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তাঁকে। পরিবারের অমতে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যক্তিকে। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ কোনও প্রকারেই হার মানেননি অ্যানি শিবা। তার জেরেই আজ তিনি নিজের এলাকার পুলিশ অফিসার৷
তাঁর সাফল্যের জন্য কেরলের পুলিশ প্রশাসন অভিনন্দন জানিয়েছে৷ টুইটারে তাঁরা লিখেছেন, ‘মনের জোর ও আত্মবিশ্বাসের সত্যিকারের উদাহরণ। ৬ মাসের সন্তান সহ ১৮ বছরের যে মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী, তিনিই এখন ভারকালা পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর।’ সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে ভারকালা পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টরের পদে প্রবেশনারি পিরিয়ডে রয়েছেন অ্যানি। একসময় নিজের এবং সন্তানের পেট চালানোর তাগিদে কেরলের ভারকালায় লেবু জল ও আইসক্রিমের দোকান খুলেছিলেন৷ হাতের কাজ সহ আরও অনেক ছোটখাটো ব্যবসা করার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু কোনওটাই ঠিকঠাক চলেনি৷ কিন্তু তারপরও তিনি জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি৷ আজ তিনি নিজের স্বপ্নপূরণে সফল হয়েছেন। সেই ভারকালা এলাকারই পুলিশ অফিসার হয়েছেন অ্যানি।
অ্যানি বলে, ‘কয়েকদিন আগেই জেনেছি, আমার পোস্টিং হয়েছে ভারকালা পুলিশ স্টেশনে। এই এলাকায় প্রতিদিন অনেক চোখের জল ফেলেছি। আমাকে আর আমার সন্তানকে কেউ দেখার ছিল না। ভারকালা শিবগিরি আশ্রম এলাকায় আমি বহু ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি। শেষে লেবু জল ও আইসক্রিম বিক্রির ব্যবসাও করেছি। কোনওটাই চলেনি। তখন এক ব্যক্তি পরামর্শ দিয়েছিলেন সাব-ইন্সপেক্টরের পরীক্ষায় বসতে এবং তার জন্য আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্যও করেছিলেন৷’ এরপরই শুরু হয় অন্যরকম পথচলা৷ এখন পরীক্ষায় পাশ করে ওই এলাকারই পুলিশ স্টেশনে সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত অ্যানি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরাও অ্যানির সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।