নয়াদিল্লি: এবার জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর কাছে আবেদন জানাল টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা৷ আপাতত বছরে ১২ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সংস্থার৷ সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হল, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের উপর প্রয়োগ করা যাবে এই টিকা৷
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল রান্নার গ্যাসের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
ইতিমধ্যেউ এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে৷ জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি টিকার নাম জাইকভ-ডি৷ এই টিকা ছাড়পত্র পেলে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি’ এবং মজার্নার পর এটা হবে দেশের পঞ্চম টিকা৷ গতকালই জরুরি ভিত্তিতে মার্তিন সংস্থা মডার্নার টিকা কেনার অনুমতি পয়েছে সিপলা৷ জাইকোভ-ডি’র ট্রায়াল চলেছে ২৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে৷ উল্লেখ্য বিষয় হয়, এর মধ্যে ১ হাজার জন ছিল কিশোর-কিশোরী৷ যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে৷ ফলে এই টিকা ছাড়পত্র পেলে প্রথমবার টিকা পাবে অপ্রাপ্তবয়স্করা৷ এই টিকা করোনা মোকাবিলায় কার্যকরী বলেই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে৷ জাইডাস ক্যালিডার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই টিকার ট্রায় চলেছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে৷ ফলে এটি ডেল্টার বিরুদ্ধেও কার্যকরী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- সারা দিন ভূতের তাণ্ডব, ‘প্রেতাত্মা’দের হাত থেকে বাঁচতে থানায় অভিযোগ যুবকের!
তবে এই টিকার বিশেষত্ব হল, এটি বিশ্বের প্রথম প্লাসমিড ডিএনএ টিকা৷ এবং এর তিনটি ডোজ নিতে হবে৷ সেই সঙ্গে এটি ‘নিডল ফ্রি’৷ দেশের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে শিশুদের সুরক্ষায় এই টিকা কার্যকরী হয়ে উঠচে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কারণ দেশে ১৮ ঊর্ধ সকল নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কথা বলা হলেও এখনও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য কোনও টিকা নেই৷ ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিশুদের অভিভাবকরা৷