আদালতে নিজেকে অসুস্থ দাবি করা সাধ্বী প্রজ্ঞা নাচলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে, তুলোধোনা কংগ্রেসের

আদালতে নিজেকে অসুস্থ দাবি করা সাধ্বী প্রজ্ঞা নাচলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে, তুলোধোনা কংগ্রেসের

নয়াদিল্লি:  ক’দিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল তাঁর বাস্কেটবল খেলার ভিডিয়ো৷ এবার তাঁকে দেখা গেল বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে কোমর দোলাতে৷ অথচ শারীরিক অসুস্থতার ওজরেই মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর৷ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ প্রজ্ঞাকে কড়া ভাষায় বিঁধেছে কংগ্রেস৷ 

আরও পড়ুন- দেহরক্ষী খুনের মামলায় কাঁথি থানায় FIR, জেরার মুখে শুভেন্দু

প্রসঙ্গত মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরের উদ্যোগেই তাঁর বাসভবনে দুটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানেই ৫১ বছরের বিজেপি সাংসদকে নাচ করতে দেখা যায়৷ তবে প্রজ্ঞার আশীর্বাদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত দুই কনে৷ একই ভাবে উচ্ছ্বসিত কনের পরিবার৷ পেশায় দিন মজুর এক কনের বাবা বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, আমরা যেন দ্বিতীয় জীবন পেলাম৷ আমি খুবই গরিব৷ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই৷ প্রজ্ঞা ঠাকুর আমাদের সাহায্য করেছেন৷ ওঁনার জন্যই সবটা সম্ভব হয়েছে৷ আমি খুবই খুশি ও কৃতজ্ঞ৷ আমি ওঁনার দীর্ঘায়ু কামনা করি৷’’

দুই কনের পরিবার উচ্ছ্বাসে মাতলেও আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে কংগ্রেস৷ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, ‘‘যখনই দেখি ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর বাস্কেটবল খেলছেন, সাহায্য ছাড়া হাঁটছেন কিংবা নাচছেন আমাদের খুব ভালো লাগে৷’’ প্রসঙ্গত, ১ জুলাই সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের বাস্কেটবল খেলার ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন সালুজা৷ বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে শক্তিনগরে বাস্কেটবল খেলেছিলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- কিছুটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুও

২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের৷ আহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ৷ অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে৷ মার্চ মাসে দিল্লি থেকে মুম্বই নিয়ে আসা হয় তাঁকে৷ মূলত শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর৷ তিনি ক্যান্সার আক্রন্ত হয়েছিলেন বলেও শোনা যায়৷ তবে সেই অসুখ নাকি গোমূত্র পান করায় সেরে গিয়েছে৷ একথা নিজেই জানিয়েছিলেন সাধ্বী৷ যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + thirteen =