নিজস্ব প্রতিবেদন: অতিমারির আসার আগে পর্যন্ত লা লিগা খেতাব জেতার প্রধান দাবিদার ছিল লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনা। কিন্তু অবশেষে তাঁদের দ্বিতীয় স্থানে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। কারণ রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন কোনও এক জিনেদিন জিদান। যেখানেই হাত দিচ্ছেন ফরাসি কিংবদন্তি সেখানেই যেন সোনা ফলছে। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে রিয়ালকে ৩৪তম লা লিগা খেতাব এনে দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে ভিলারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ট্রফি মুঠোয় পোরেন র্যা মোস-বেঞ্জেমারা। অন্যদিকে ওসাসুনার বিরুদ্ধে ১-২ ফলে হেরে যায় বার্সা। মেসি গোল পেলেও এবং প্রতিপক্ষকে মিনিট ১৫ দশ জনে পেয়েও কোনও সুবিধা হয়নি। এই খেতাবের পর জিদানই সর্বকালের সেরা ম্যানেজার কি না তা নিয়ে জোর বিতর্ক উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্তাসে যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একই সময়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেন জিদান। জোড়া ধাক্কায় দুর্বল হয়ে পড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। অন্যদিকে বার্সার হাল ধরে রেখেছিলেন মেসি। ২০১৮-১৯ মরসুমে খেতাব জেতে বার্সেলোনাই। মরসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৩৬) ছিলেন সেই মেসিই। এদিকে, দ্বিতীয় স্থানেও থাকতে পারেনি চির-প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও শেষ ষোলো থেকে ছিটকে জেতে হয় র্যা মোসদের। রিয়াল ভক্তরা জিদানকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু করে দেন। ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আর দেরি না করে জিজুকে ফিরিয়ে আনেন। ফিরেই দলকে লিগ জিতিয়ে দিলেন তিনি। মাত্র তিন বছর দায়িত্বে থেকে রিয়ালকে ১১টা ট্রফি দিয়েছেন জিজু, অর্থাৎ প্রতি ১৯ ম্যাচে একটি ট্রফি।
এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেই বলা হচ্ছে জিদানই সম্ভবত সর্বকালের সেরা ম্যানেজার। রোনাল্ডো নেই, বেলের দায়বদ্ধতার অভাব, এডেন হ্যাজার্ডের ফিটনেস নেই, এমনও নানান সমস্যা যেন জাদুকাঠি দিয়ে মিটিয়ে দিলেন তিনি। অন্যদিকে সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে লিয়োনেল মেসির। বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েনের রণনীতি নিয়ে তাঁর ক্ষোভ সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। ফুটবল ডিরেকটর এরিক আবিদাল আবার কিছু সমস্যার জন্য মেসিকে দায়ী করেছেন। জল্পনা চলছে এবার হয়তো সত্যিই বার্সা ছাড়বেন মেসি। খেতাব হাতছাড়া হওয়ার পর এবার কী হয় সেটাই দেখার।