মুম্বই: কোভিড-১৯ সংক্রমণের জেরে বিশ্বজুড়ে থমকে গিয়েছিল খেলাধূলা। বিদেশের ফুটবল লিগগুলো অবশেষে চালু হলেও ক্রিকেট এখনও বন্ধই। একমাত্র ইংল্যান্ডে এখন টেস্ট খেলা চলছে। কিন্তু বিশ্বের জনপ্রিয়তম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল এখনও বিশ বাঁও জলে। যেহেতু এই টুর্নামেন্ট থেকে ভারতীয় বোর্ডের কোটি কোটি টাকা মুনাফা হয় তাই যেনতেন প্রকারেণ চলছে তা আয়োজন করার। দেখে নেওয়া যাক কী অবস্থায় আছে সেই আয়োজন।
লকডাউন পর্ব কেটে যাওয়ার পরেও ভারতে আইপিএল আয়োজন করা অসম্ভব তা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছে বিসিসিআই। বিকল্প রাস্তা বিদেশে আয়োজন। অতীতে দু’বার, একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং একবার আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট। করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর দুটি বিকল্প জায়গা উঠে এসেছে— আমিরশাহি এবং শ্রীলঙ্কা। আইপিএলের জৌলুস, জাঁকজমকের কথা ভাবলে আমিরশাহিই সেরা জায়গা। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় সাশ্রয় এবং নিরাপত্তার সুবিধা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা ভারতের খুব কাছে। চেন্নাই থেকে বিমানে একঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়। ফলে সাশ্রয় হবে অনেকটাই। তাছাড়া ওদেশে ক্রিকেট পরিকাঠামোও যথেষ্ট ভাল। অন্তত গোটা তিনেক আন্তর্জাতিক মানের মাঠ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। মাত্র একদিনের নিভৃতবাসের পর পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ ফল এলেই ছাড় মিলবে। দিনে দুটো করে ম্যাচ আয়োজন করলে অল্পদিনে উতরে দেওয়া যাবে আইপিএল। অপরপক্ষে, আমিরশাহিতে আয়োজিত হলে সংক্রমণ নিয়ে ভয় থেকে যায়। কারণ দুবাই এয়ারপোর্টে সারা বিশ্বের মানুষ আসেন, তাই ভাইরাসের হানা দেওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
তা সত্ত্বেও এখনও প্রথম পছন্দ আমিরশাহিই। কারণ জৌলুস ছাড়া আইপিএল আর আইপিএল থাকে না। বিজ্ঞাপনের অর্থ আয়ের দিকেও জৌলুস খুব জরুরি বিষয়। আইপিএল শুধু তো ক্রিকেট নয়, সেখানে মিশে যায় বলিউডও। নৈশপার্টি, কোটি টাকার বিজ্ঞাপন, এ সব ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে আরব আমিরশাহি। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর সহকারীদের তাই সমস্ত বিষয়টাই মাথায় রাখতে হচ্ছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাই হোক, নভেম্বরের আগে কিছুই সম্ভব নয়।